5. ইব্রাম তাঁর স্ত্রী সারীকে ও ভাতিজা লূতকে এবং হারণে তাঁরা যে ধন উপার্জন করেছিলেন, ও যে সব গোলাম-বাঁদী লাভ করেছিলেন, সেই সমস্ত নিয়ে কেনান দেশে যাবার জন্য যাত্রা করলেন এবং কেনান দেশে আসলেন।
6. আর ইব্রাম নানা দেশ দিয়ে যেতে যেতে শিখিমে, মোরির এলোন গাছের কাছে উপস্থিত হলেন। সেই সময় কেনানীয়েরা সেই দেশে বাস করতো।
7. পরে মাবুদ ইব্রামকে দর্শন দিয়ে বললেন, আমি তোমার বংশকে এই দেশ দেব; আর যিনি ইব্রামকে দর্শন দিয়েছিলেন ইব্রাম সেই মাবুদের উদ্দেশে সেই স্থানে একটি কোরবানগাহ্ তৈরি করলেন।
8. পরে তিনি ঐ স্থান ত্যাগ করে পর্বতে গিয়ে বেথেলের পূর্ব দিকে তাঁর তাঁবু স্থাপন করলেন; তার পশ্চিমে বেথেল ও পূর্ব দিকে অয় নগর ছিল; তিনি সেই স্থানে মাবুদের উদ্দেশে এক কোরবানগাহ্ তৈরি করলেন ও মাবুদের এবাদত করলেন।
9. পরে ইব্রাম ক্রমে ক্রমে দক্ষিণে গমন করলেন।
10. দেশে দুর্ভিক্ষ হলে পর ইব্রাম মিসরে প্রবাস করতে যাত্রা করলেন; কেননা (কেনান) দেশে ভীষণ দুর্ভিক্ষ হয়েছিল।
11. আর ইব্রাম যখন মিসরে প্রবেশ করতে উদ্যত হন, তখন তাঁর স্ত্রী সারীকে বললেন, তুমি দেখতে খুব সুন্দরী;
12. এজন্য মিসরীয়েরা যখন তোমাকে দেখবে তখন তুমি যে আমার স্ত্রী এই ভেবে আমাকে মেরে ফেলবে, আর তোমাকে জীবিত রাখবে।
13. আরজ করি, এই কথা বলো যে, তুমি আমার বোন; যেন তোমার অনুরোধে আমার মঙ্গল হয় ও তোমার জন্য আমার প্রাণ বাঁচে।
14. পরে ইব্রাম মিসরে প্রবেশ করলে মিসরীয়েরা দেখতে পেল যে, ঐ নারী খুবই সুন্দরী।
15. আর ফেরাউনের কর্মকর্তারা তাঁকে দেখে ফেরাউনের কাছে তাঁর প্রশংসা করলেন; তাতে সারীকে ফেরাউনের প্রাসাদে নিয়ে যাওয়া হল।
16. আর তাঁর অনুরোধে তিনি ইব্রামের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করলেন; তাতে ইব্রাম ভেড়া, গরু, গাধা-গাধী ও উট এবং গোলাম-বাঁদী লাভ করলেন।
17. কিন্তু ইব্রামের স্ত্রী সারীর জন্য মাবুদ ফেরাউন ও তাঁর পরিবারের উপরে ভীষণ উৎপাত ঘটালেন।
18. তাতে ফেরাউন ইব্রামকে ডেকে বললেন, আপনি আমার সঙ্গে এ কি ব্যবহার করলেন? উনি আপনার স্ত্রী, এই কথা আমাকে কেন বলেন নি?
19. ওঁকে আপনার বোন কেন বললেন? আমি তো ওঁকে বিয়ে করতে নিয়েছিলাম। এখন আপনার স্ত্রীকে নিয়ে চলে যান।