27. তখন বার্নাবাস তাঁর হাত ধরে প্রেরিতদের কাছে নিয়ে গেলেন এবং পথের মধ্যে তিনি কিভাবে প্রভুকে দেখতে পেয়েছেন ও প্রভু যে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন এবং কিভাবে তিনি দামেস্কে ঈসার নামে সাহসপূর্বক তবলিগ করেছেন, এসব তাঁদের কাছে বর্ণনা করলেন।
28. আর শৌল জেরুশালেমে তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে থাকতেন, ভিতরে আসতেন ও বাইরে যেতেন, প্রভুর নামে সাহসপূর্বক তবলিগ করতেন।
29. তিনি গ্রীক ভাষাবাদী ইহুদীদের সঙ্গে কথাবার্তা ও তর্ক করতেন, কিন্তু তারা তাঁকে হত্যা করার জন্য চেষ্টা করতে লাগল।
30. ঈমানদার ভাইয়েরা এই কথা জানতে পেরে তাঁকে সিজারিয়াতে নিয়ে গেলেন এবং সেখান থেকে তার্ষ নগরে পাঠিয়ে দিলেন।
31. তখন এহুদিয়া, গালীল ও সামেরিয়ার সর্বত্র মণ্ডলী শান্তিভোগ করতে ও বৃদ্ধি পেতে লাগল এবং প্রভুর ভয়ে ও পাক-রূহের আশ্বাসে চলতে চলতে বহুসংখ্যক হয়ে উঠলো।
32. আর পিতর সকল স্থানে ভ্রমণ করতে করতে লুদ্দা-নিবাসী পবিত্র লোকদের কাছেও গেলেন।
33. সেই স্থানে তিনি ঐনিয় নামে এক ব্যক্তির দেখা পান যে পক্ষাঘাত রোগে আট বছর যাবৎ বিছানায় পড়ে ছিল।
34. পিতর তাকে বললেন, ঐনিয়, ঈসা মসীহ্ তোমাকে সুস্থ করলেন, উঠ, তোমার বিছানা তুলে নাও।
35. তাতে সে তৎক্ষণাৎ উঠলো। তখন লুদ্দা ও শারোণ-নিবাসী সমস্ত লোক তাকে দেখতে পেল এবং তারা প্রভুর প্রতি ফিরল।
36. আর যাফোতে টাবিথা নাম্নী এক মহিলা সাহাবী ছিলেন, অনুবাদ করলে এই নামের অর্থ দর্কা [হরিণী]; তিনি নানা সৎকর্ম ও দানকার্যে ব্যাপৃত ছিলেন।