11. প্রভু তাঁকে দর্শনযোগে বললেন, অননিয়। তিনি বললেন, প্রভু, দেখুন, এই আমি। তখন প্রভু তাঁকে বললেন, তুমি উঠে সরল নামক পথে গিয়ে এহুদার বাড়িতে তার্ষ নগরীর শৌল নামক ব্যক্তির খোঁজ কর।
12. আর দেখ, সে মুনাজাত করছে এবং সে দেখেছে, অননিয় নামে এক ব্যক্তি এসে তার উপরে হাত রাখছে, যেন সে দৃষ্টি ফিরে পায়।
13. অননিয় জবাবে বললেন, প্রভু, আমি অনেকের কাছে এই ব্যক্তির বিষয় শুনেছি, সে জেরুশালেমে তোমার পবিত্র লোকদের প্রতি কত উপদ্রব করেছে;
14. এই স্থানেও যত লোক তোমার নামে ডাকে, তাদের সকলকে বন্দী করার ক্ষমতা সে প্রধান ইমামদের কাছ থেকে পেয়েছে।
15. কিন্তু প্রভু তাঁকে বললেন, তুমি যাও, কেননা জাতিদের ও বাদশাহ্দের এবং বনি-ইসরাইলদের কাছে আমার নাম বহন করার জন্য আমি তাকে মনোনীত করেছি।
16. আমার নামের জন্য তাকে কত কষ্ট ভোগ করতে হবে তা আমি তাকে দেখাবো।
17. তখন অননিয় চলে গিয়ে সেই বাড়িতে প্রবেশ করলেন এবং তাঁর উপরে হাত রেখে বললেন, ভাই শৌল, যিনি তোমার আসার পথে তোমাকে দর্শন দিলেন, তিনি প্রভু ঈসা। তিনি আমাকে প্রেরণ করেছেন, যেন তুমি দৃষ্টি পাও এবং পাক-রূহে পরিপূর্ণ হও।
18. আর অমনি তাঁর চোখ থেকে যেন আঁশ পড়ে গেল, তিনি দৃষ্টি ফিরে পেলেন এবং উঠে বাপ্তিস্ম নিলেন।
19. পরে আহার করে শক্তি লাভ করলেন।
20. আর তিনি কয়েক দিন দামেস্কের সাহাবীদের সঙ্গে থাকলেন এবং সময় নষ্ট না করে বিভিন্ন মজলিস-খানায় এই বলে তবলিগ করতে লাগলেন যে, ঈসা-ই আল্লাহ্র পুত্র।
21. আর যারা তাঁর কথা শুনতে পেল, তারা সকলে চমৎকৃত হয়ে বলতে লাগল, জেরুশালেমে যারা এই নামে ডাকে তাদেরকে যে ব্যক্তি উৎপাটন করতো, এ কি সেই ব্যক্তি নয়? এখানে যারা সেই পথে চলে তাদেরকে বন্দী করে প্রধান ইমামদের কাছে নিয়ে যাবার জন্যই কি সে এখানে আসে নি?
22. কিন্তু শৌল উত্তরোত্তর শক্তিমান হয়ে উঠলেন এবং ঈসা-ই যে মসীহ্ তা প্রমাণ করে দামেস্ক-নিবাসী ইহুদীদেরকে নিরুত্তর করতে লাগলেন।