4. তখন যারা ছড়িয়ে পড়েছিল, তারা চারদিকে ভ্রমণ করে সুসমাচারের কালাম করতে লাগল।
5. আর ফিলিপ সামেরিয়ার নগরে গিয়ে লোকদের কাছে মসীহ্কে তবলিগ করতে লাগলেন।
6. আর লোকেরা ফিলিপের কথা শুনে ও তাঁর কৃত চিহ্ন-কাজগুলো দেখে মন দিয়ে তাঁর কথা শুনল।
7. কারণ নাপাক রূহ্বিষ্ট অনেক লোক থেকে সেসব রূহ্ চিৎকার করে চেঁচিয়ে বের হয়ে আসলো এবং অনেক পক্ষাঘাতগ্রস্ত ও খঞ্জ সুস্থ হল;
8. তাতে ঐ নগরে বড়ই আনন্দ হল।
9. কিন্তু শিমোন নামে এক ব্যক্তি ছিল, সে আগে থেকে সেই নগরে যাদু দেখাত ও সামেরিয় জাতিকে চমৎকৃত করতো। সে নিজেকে এক জন মহাপুরুষ বলে দাবী করতো,
10. এবং তার কথা ছোট বড় সকলে শুনতো। তারা বলতো, এই ব্যক্তি আল্লাহ্র সেই শক্তি, যা মহতী নামে আখ্যাত।
11. লোকে তার কথায় মনযোগ দিত, কারণ সে বহুকাল থেকে তার যাদুর কাজ দিয়ে তাদেরকে চমৎকৃত করে আসছিল।
12. কিন্তু ফিলিপ আল্লাহ্র রাজ্য ও ঈসা মসীহের নাম বিষয়ক সুসমাচার তবলিগ করলে তারা তাঁর কথায় ঈমান আনল, আর পুরুষ ও স্ত্রীলোকেরা বাপ্তিস্ম নিতে লাগল।
13. আর শিমোন নিজেও ঈমান আনল এবং বাপ্তিস্ম নিয়ে ফিলিপের সঙ্গে সঙ্গেই থাকতে লাগল; আর অনেক চিহ্ন-কাজ ও মহাপরাক্রমের কাজ সাধিত হচ্ছে দেখে চমৎকৃত হল।
14. জেরুশালেমে প্রেরিতেরা যখন শুনতে পেলেন যে, সামেরীয়রা আল্লাহ্র কালাম গ্রহণ করেছে, তখন তাঁরা পিতর ও ইউহোন্নাকে তাদের কাছ প্রেরণ করলেন।
15. তাঁরা এসে তাদের জন্য মুনাজাত করলেন, যেন তাঁরা পাক-রূহ্ পায়;
16. কেননা এই পর্যন্ত তাদের কারো উপরে পাক-রূহ্ নেমে আসেন নি; কেবল তারা প্রভু ঈসার নামে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছিল।
17. তখন তাঁরা তাদের উপরে হস্তার্পণ করলেন, আর তারা পাক-রূহ্ লাভ করলো।
18. আর শিমোন যখন দেখতে পেল, প্রেরিতদের হস্তার্পণ দ্বারা পাক-রূহ্ দেওয়া হচ্ছে, তখন সে তাঁদের কাছে টাকা এনে বললো,
19. আমাকেও এই ক্ষমতা দিন, যেন আমি যার উপরে হাত রাখবো, সে পাক-রূহ্ পায়।
20. কিন্তু পিতর তাকে বললেন, তোমার রূপা তোমার সঙ্গে বিনষ্ট হোক, কেননা আল্লাহ্র দান তুমি অর্থ দিয়ে ক্রয় করতে মনস্থ করেছ।
21. এই বিষয়ে তোমার অংশ বা অধিকার কিছুই নেই; কারণ তোমার অন্তর আল্লাহ্র সাক্ষাতে সরল নয়।
22. অতএব তোমার এই নাফরমানী থেকে মন ফিরাও এবং প্রভুর কাছে ফরিয়াদ কর, কি জানি, তোমার হৃদয়ের কল্পনার মাফ হলেও হতে পারে;