14. জেরুশালেমে প্রেরিতেরা যখন শুনতে পেলেন যে, সামেরীয়রা আল্লাহ্র কালাম গ্রহণ করেছে, তখন তাঁরা পিতর ও ইউহোন্নাকে তাদের কাছ প্রেরণ করলেন।
15. তাঁরা এসে তাদের জন্য মুনাজাত করলেন, যেন তাঁরা পাক-রূহ্ পায়;
16. কেননা এই পর্যন্ত তাদের কারো উপরে পাক-রূহ্ নেমে আসেন নি; কেবল তারা প্রভু ঈসার নামে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করেছিল।
17. তখন তাঁরা তাদের উপরে হস্তার্পণ করলেন, আর তারা পাক-রূহ্ লাভ করলো।
18. আর শিমোন যখন দেখতে পেল, প্রেরিতদের হস্তার্পণ দ্বারা পাক-রূহ্ দেওয়া হচ্ছে, তখন সে তাঁদের কাছে টাকা এনে বললো,
19. আমাকেও এই ক্ষমতা দিন, যেন আমি যার উপরে হাত রাখবো, সে পাক-রূহ্ পায়।
20. কিন্তু পিতর তাকে বললেন, তোমার রূপা তোমার সঙ্গে বিনষ্ট হোক, কেননা আল্লাহ্র দান তুমি অর্থ দিয়ে ক্রয় করতে মনস্থ করেছ।
21. এই বিষয়ে তোমার অংশ বা অধিকার কিছুই নেই; কারণ তোমার অন্তর আল্লাহ্র সাক্ষাতে সরল নয়।
22. অতএব তোমার এই নাফরমানী থেকে মন ফিরাও এবং প্রভুর কাছে ফরিয়াদ কর, কি জানি, তোমার হৃদয়ের কল্পনার মাফ হলেও হতে পারে;
23. কেননা আমি দেখছি, তোমার মন মন্দতায় পরিপূর্ণ ও তুমি গুনাহ্র বন্ধনে আবদ্ধ রয়েছ।
24. তখন শিমোন জবাবে বললো, আপনারাই আমার জন্য প্রভুর কাছে ফরিয়াদ করুন, যেন আপনারা যা যা বললেন, তার কিছুই আমার প্রতি না ঘটে।
25. পরে তাঁরা সাক্ষ্য দিয়ে ও প্রভুর কালাম তবলিগ করে জেরুশালেমে ফিরে যেতে যেতে সামেরিয়দের অনেক গ্রামে সুসমাচার তবলিগ করলেন।
26. পরে প্রভুর এক জন ফেরেশতা ফিলিপকে এই কথা বললেন, উঠ, দক্ষিণ দিকে, যে পথ জেরুশালেম থেকে গাজার দিকে নেমে গেছে, সেই পথে যাও। সেই পথটি ছিল মরুভূমির মধ্যে।
27. তাতে তিনি উঠে গমন করলেন। আর দেখ, সেখানে ইথিওপিয়া দেশের এক কর্মকর্তা ছিলেন, যিনি ইথিওপীয়দের কান্দাকি রাণীর অধীন উচ্চপদস্থ এক জন নপুংসক এবং রাণীর সমস্ত ধনকোষের নেতা ছিলেন। তিনি এবাদত করার জন্য জেরুশালেমে এসেছিলেন;
28. পরে ফিরে যাচ্ছিলেন এবং তাঁর রথে বসে ইশাইয়া নবীর কিতাব পাঠ করছিলেন।
29. তখন পাক-রূহ্ ফিলিপকে বললেন, ঐ রথের কাছে যাও ও তার সঙ্গে সঙ্গে চল।
30. তাতে ফিলিপ দৌড়ে কাছে গিয়ে শুনলেন, তিনি ইশাইয়া নবীর কিতাব পাঠ করছেন। ফিলিপ বললেন, আপনি যা পাঠ করছেন, তা কি বুঝতে পারছেন?
31. তিনি বললেন, কেউ আমাকে বুঝিয়ে না দিলে কেমন করে বুঝতে পারব? পরে তিনি ফিলিপকে তাঁর কাছে উঠে বসতে অনুরোধ করলেন।