32. “আমি তোমার পূর্বপুরুষদের আল্লাহ্, ইব্রাহিমের, ইস্হাকের ও ইয়াকুবের আল্লাহ্।” তখন মূসা ভয়ে কাঁপতে লাগলেন এবং ভাল করে তাকিয়ে দেখবার সাহস করলেন না।
33. পরে প্রভু তাঁকে বললেন, “তোমার পা থেকে জুতা খুলে ফেল; কেননা যে স্থানে তুমি দাঁড়িয়ে আছ, সেটি পবিত্র ভূমি।
34. আমি মিসরে অবস্থিত আমার লোকদের দুঃখ সত্যিই দেখেছি, তাদের আর্তস্বর শুনেছি, আর তাদেরকে উদ্ধার করতে নেমে এসেছি, এখন এসো, আমি তোমাকে মিসরে প্রেরণ করি।”
35. এই যে মূসাকে তারা অস্বীকার করেছিল, বলেছিল, ‘তোমাকে নেতা ও বিচারকর্তা করে কে নিযুক্ত করেছে?’ তাঁকেই আল্লাহ্, যে ফেরেশতা ঝোপে তাঁকে দর্শন দিয়েছিলেন, সেই ফেরেশতার মধ্য দিয়ে নেতা ও মুক্তিদাতা করে প্রেরণ করলেন।
36. তিনিই মিসরে, লোহিত সাগরে ও মরুভূমিতে চল্লিশ বছর কাল নানা রকম অদ্ভুত লক্ষণ ও চিহ্ন-কাজ সাধন করে তাদেরকে বের করে আনলেন।
37. ইনি সেই মূসা, যিনি বনি-ইসরাইলকে এই কথা বলেছিলেন, “আল্লাহ্ তোমাদের জন্য তোমাদের ভাইদের মধ্য থেকে আমার মত এক জন নবীকে উৎপন্ন করবেন।”
38. তিনিই মরুভূমিতে বনি-ইসরাইলদের দলের মধ্যে ছিলেন; যে ফেরেশতা তুর পর্বতে তাঁর কাছে কথা বলেছিলেন, তিনিই তাঁর এবং আমাদের পূর্বপুরুষদের সঙ্গে ছিলেন। তিনি আমাদেরকে দেবার জন্য জীবন্ত বাণী পেয়েছিলেন।
39. আমাদের পূর্বপুরুষেরা তাঁর বাধ্য হতে চাইলেন না, বরং তাঁকে অগ্রাহ্য করলেন। আর তারা মনে মনে পুনরায় মিসরের দিকে ফিরে হারুনকে বললেন,
40. “আমাদের জন্য দেবতা নির্মাণ কর, তাঁরাই আমাদের আগে আগে যাবেন, কেননা এই যে মূসা মিসর দেশ থেকে আমাদেরকে বের করে আনলেন, তাঁর কি হল, আমরা জানি না”।
41. আর সেই সময়ে তারা একটা বাছুর তৈরি করলেন এবং সেই মূর্তির উদ্দেশে কোরবানী করলেন ও নিজেদের হাতের তৈরি বস্তুতে আমোদ করতে লাগলেন।
42. কিন্তু আল্লাহ্ বিমুখ হলেন, তাদেরকে আসমানের বাহিনী পূজা করার জন্যই ফেলে রাখলেন; যেমন নবীদের কিতাবে লেখা আছে, “হে ইসরাইল-কূল, মরুভূমিতে চল্লিশ বছর ধরে তোমরা কি আমার উদ্দেশে পশু কোরবানী ও উপহার উৎসর্গ করেছিলে?
43. তোমরা বরং মোলকের তাঁবু ও রিফন্ দেবতার তারা তুলে বহন করেছিলে, সেই মূর্তিদ্বয়, যা তোমরা পূজা করার জন্য গড়েছিলে; আর আমি তোমাদেরকে ব্যাবিলনের ওদিকে নির্বাসিত করবো।”