33. এই কথা শুনে তাঁরা ভীষণ ক্রুদ্ধ হলেন ও ওঁদেরকে হত্যা করার মনস্থ করলেন।
34. কিন্তু মহাসভায় গমলীয়েল নামে এক জন ফরীশী উঠে ঐ লোকদেরকে কিছুক্ষণের জন্য বের করার হুকুম দিলেন। তিনি শরীয়তের এক জন শিক্ষক ছিলেন এবং সকলে তাঁকে মান্য করতো।
35. পরে তিনি তাঁদেরকে বললেন, হে বনি-ইসরাইলরা, সেই লোকদের বিষয়ে তোমরা কি করতে উদ্যত হয়েছ, সেই বিষয়ে সাবধান হও।
36. কেননা ইতোপূর্বে থুদা উঠে নিজেকে মহাপুরুষ বলে দাবী করেছিল এবং কমবেশ চারশত জন তার সঙ্গে যোগ দিয়েছিল। সে হত হল এবং যত লোক তার অনুগত হয়েছিল সকলে ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়লো, কেউই রইলো না।
37. সেই ব্যক্তির পরে নাম লিখে দেবার সময়ে গালীলীয় এহুদা উঠে কতগুলো লোককে তার পিছনে টেনে নিয়েছিল; সেও বিনষ্ট হল এবং যত লোক তার অনুগত হয়েছিল, সকলে ছড়িয়ে পড়লো।
38. এখন আমি তোমাদেরকে বলছি, তোমরা এই লোকদের থেকে ক্ষান্ত হও, তাদেরকে থাকতে দাও; কেননা এই পরামর্শ কিংবা এই ব্যাপার যদি মানুষ থেকে হয়ে থাকে, তবে লোপ পাবে;
39. কিন্তু যদি আল্লাহ্ থেকে হয়ে থাকে, তবে তাদেরকে লোপ করা তোমাদের সাধ্য নয়, কি জানি, দেখা যাবে যে, তোমরা আল্লাহ্র সঙ্গে যুদ্ধ করছো।
40. তখন তারা তাঁর কথায় সম্মত হলেন, আর প্রেরিতদেরকে কাছে ডেকে প্রহার করলেন এবং ঈসার নামে কোন কথা বলতে নিষেধ করে ছেড়ে দিলেন।
41. তখন প্রেরিতেরা মহাসভার সম্মুখ থেকে আনন্দ করতে করতে চলে গেলেন, কারণ তাঁরা সেই নামের জন্য অপমানিত হবার যোগ্য-পাত্র গণিত হয়েছিলেন।
42. আর তাঁরা প্রতিদিন বায়তুল-মোকাদ্দসে ও বাড়িতে উপদেশ দিতেন এবং ঈসা-ই যে মসীহ্, এই সুসমাচার তবলিগ করতেন, ক্ষান্ত হতেন না।