12. তা দেখে পিতর লোকদেরকে বললেন, হে ইসরাইলের লোকেরা, এই ব্যক্তির বিষয়ে কেন আশ্চর্য জ্ঞান করছো? অথবা আমরাই যে নিজের শক্তি বা ভক্তিগুণে একে চলবার শক্তি দিয়েছি, এই কথা মনে করে কেনই বা আমাদের প্রতি একদৃষ্টে চেয়ে রয়েছ?
13. ইব্রাহিমের, ইস্হাকের ও ইয়াকুবের আল্লাহ্, আমাদের পূর্বপুরুষদের আল্লাহ্, তাঁর গোলাম সেই ঈসাকে মহিমান্বিত করেছেন। তোমরা তাঁকে দুশমনদের হাতে তুলে দিয়েছিলে এবং পীলাত যখন তাঁকে ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন, তখন পিলাতের সাক্ষাতে তোমরা তাঁকে অস্বীকার করেছিলে।
14. তোমরা সেই পবিত্র ও ধর্মময় ব্যক্তিকে অস্বীকার করে তোমাদের জন্য এক জন নরঘাতককে ছেড়ে দিতে বলেছিলে,
15. কিন্তু তোমরা জীবনের আদিকর্তাকে হত্যা করেছিলে। আর আল্লাহ্ তাঁকে মৃতদের মধ্যে থেকে উঠিয়েছেন, আমরা এর সাক্ষী।
16. আর তাঁর নামে ঈমান আনার ফলে এই যে ব্যক্তিকে তোমরা দেখছো ও জানো, তাঁরই নাম একে বলবান করেছে; তাঁরই দেওয়া ঈমান তোমাদের সকলের সাক্ষাতে একে সমপূর্ণ সুস্থতা এনে দিয়েছে।
17. এখন হে ভাইয়েরা, আমি জানি, তোমাদের নেতাদের মত তোমরাও অজ্ঞানতা-বশত সেই কাজ করেছ;
18. কিন্তু আল্লাহ্ তাঁর মসীহের দুঃখভোগের বিষয়ে যেসব কথা সমস্ত নবীর মুখ দ্বারা আগে জানিয়ে ছিলেন, সেসব এভাবে পূর্ণ করেছেন।
19. অতএব তোমরা মন ফিরাও ও ফির, যেন তোমাদের গুনাহ্ মুছে ফেলা হয়,
20. যেন এভাবে প্রভুর সম্মুখ থেকে সান্ত্বনার সময় উপস্থিত হয় এবং আল্লাহ্ তোমাদের জন্য আগেই যাঁকে নিরূপিত করে রেখেছেন সেই মসীহ্কে, ঈসাকে, প্রেরণ করেন।
21. আল্লাহ্ অনেক দিন আগে নিজের পবিত্র নবীদের মুখ দ্বারা যে কালের বিষয়ে বলেছেন, যে পর্যন্ত না সমস্ত বিষয়ের পুনঃস্থাপনের সেই কাল উপস্থিত হয়, তত দিন পর্যন্ত নিশ্চয়ই তাঁকে বেহেশতে থাকতে হবে।
22. মূসা তো বলেছিলেন, “প্রভু আল্লাহ্ তোমাদের জন্য তোমাদের ভাইদের মধ্যে থেকে আমার মত এক জন নবীকে উৎপন্ন করবেন, তিনি তোমাদেরকে যা যা বলবেন, সেসব বিষয়ে তোমরা তাঁর কথা শুনবে;
23. আর এরকম হবে, যে কোন প্রাণী সেই নবীর কথা না শুনবে, সেই লোক লোকদের মধ্য থেকে উচ্ছিন্ন হবে।”