15. তখন জাহাজ ঝড়ের মধ্যে পড়ে বায়ুর প্রতিরোধ করতে না পারাতে আমরা তা ভেসে যেতে দিলাম।
16. পরে কৌদা নামে একটি ক্ষুদ্র দ্বীপের আড়ালে আড়ালে চলে বহুকষ্টে জাহাজের ছোট নৌকাখানি নিজেদের বশ করতে পারলাম।
17. তখন মাল্লারা তা তুলে নিয়ে, নানা উপায়ে জাহাজের পাশে বেঁধে দৃঢ় করলো। আর পাছে সূর্তি নামক চড়াতে গিয়ে পড়ে, এই ভয়ে নোঙ্গরগুলো নামিয়ে দিয়ে জাহাজটিকে অমনি চলতে দেওয়া হল।
18. ঝড়ের অতিশয় আঘাতের দরুন পরের দিন তারা মালপত্র পানিতে ফেলে দিতে লাগল।
19. তৃতীয় দিনে তারা নিজের হাতে জাহাজের সরঞ্জাম ফেলে দিল।
20. আর অনেক দিন পর্যন্ত সূর্য বা তারা প্রকাশ না পাওয়াতে এবং ভীষণ ঝড়ের আঘাতে, আমাদের রক্ষা পাবার সমস্ত আশা ক্রমে দূরীভূত হল।
21. তখন সকলে অনেক দিন অনাহারে থাকলে পর পৌল তাদের মধ্যে দাঁড়িয়ে বললেন, ভাইয়েরা, আমার কথা গ্রাহ্য করে ক্রীট দ্বীপ থেকে জাহাজ না ছাড়া এবং এই অনিষ্ট ও ক্ষতি হতে না দেওয়া আপনাদের উচিত ছিল।
22. কিন্তু এখন আমার পরামর্শ এই, আপনারা সাহস করুন, কেননা আপনাদের কারো প্রাণের হানি হবে না, কেবল জাহাজের হবে।
23. কারণ আমি যাঁর লোক এবং যাঁর এবাদত করি, সেই আল্লাহ্র এক জন ফেরেশতা গত রাতে আমার কাছে দাঁড়িয়ে বললেন,
24. পৌল, ভয় করো না, সম্রাটের সম্মুখে তোমাকে দাঁড়াতে হবে। আর দেখ, যারা তোমার সঙ্গে যাচ্ছে, আল্লাহ্ তাদের সকলকেই তোমায় দান করেছেন।
25. অতএব ভাইয়েরা সাহস করুন, কেননা আল্লাহ্র উপরে আমার এমন বিশ্বাস আছে যে, আমার কাছে যেরকম উক্ত হয়েছে, সেরকমই ঘটবে।
26. কিন্তু কোন দ্বীপে গিয়ে আমাদের পড়তে হবে।
27. এভাবে আমরা আদ্রিয়া সাগরে ইতস্তত চলতে চলতে যখন চতুর্দশ রাত উপস্থিত হল, তখন প্রায় মধ্যরাত্রে মাল্লারা অনুমান করতে লাগল যে, তারা কোন দেশের নিকটবর্তী হচ্ছে।
28. আর তারা পানি মেপে বিশ বাঁউ পানি পেল; একটু পরে আবার পানি মেপে পনের বাঁউ পেল।
29. তখন পাছে আমরা পাথরের উপরে গিয়ে পড়ি, এই আশঙ্কায় তারা জাহাজের পিছনের ভাগ থেকে চারটি নোঙ্গর ফেলে দিনের অপেক্ষা করতে লাগলো।
30. আর মাল্লারা জাহাজ থেকে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করছিল এবং জাহাজের সম্মুখ দিক থেকে নোঙ্গর ফেলবার ছল করে নৌকাখানি সাগরে নামিয়ে দিয়েছিল।
31. এজন্য পৌল শতপতিকে ও সেনাদেরকে বললেন, ওরা জাহাজে না থাকলে আপনারা রক্ষা পাবেন না।