15. তখন আমি বললাম, ‘প্রভু, আপনি কে?’ প্রভু বললেন, ‘আমি ঈসা, যাঁকে তুমি নির্যাতন করছো?
16. কিন্তু উঠ, তোমার পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াও, তুমি যে যে বিষয়ে আমাকে দেখেছ ও যে যে বিষয়ে আমি তোমাকে দর্শন দেব, সেসব বিষয়ে যেন তোমাকে সেবক ও সাক্ষী নিযুক্ত করি, এই অভিপ্রায়ে তোমাকে দর্শন দিলাম।
17. আমি যাদের কাছে তোমাকে প্রেরণ করছি, সেই লোকদের ও অ-ইহুদীদের থেকে তোমাকে উদ্ধার করবো,
18. যেন তুমি তাদের চোখ খুলে দাও, যেন তারা অন্ধকার থেকে আলোর প্রতি এবং শয়তানের কর্তৃত্ব থেকে আল্লাহ্র প্রতি ফিরে আসে, যেন আমার উপর ঈমান আনার দ্বারা গুনাহ্র মাফ পায় ও পবিত্রীকৃত লোকদের মধ্যে অধিকার পায়।’
19. এজন্য, হে বাদশাহ্ আগ্রিপ্প, আমি সেই বেহেশতী দর্শনের অবাধ্য হলাম না;
20. কিন্তু প্রথমে দামেস্কের লোকদের কাছে, পরে জেরুশালেমে ও এহুদার সমস্ত জনপদে এবং অ-ইহুদীদের কাছেও তবলিগ করতে লাগলাম যে, তারা যেন মন ফিরায় ও আল্লাহ্র প্রতি ফিরে আসে, মন পরিবর্তনের উপযোগী কাজ করে।
21. এই কারণ ইহুদীরা বায়তুল-মোকাদ্দসে আমাকে ধরে হত্যা করতে চেষ্টা করছিল।
22. কিন্তু আল্লাহ্র কাছ থেকে সাহায্য পেয়ে আমি আজ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে আছি, ক্ষুদ্র ও মহান সকলের কাছে সাক্ষ্য দিচ্ছি, নবীরা এবং মূসাও যা ঘটবে বলে গেছেন, তার বাইরে আর কিছুই বলছি না।
23. আর তা এই, মসীহ্কে দুঃখভোগ করতে হবে, আর তিনিই প্রথম, মৃতদের পুনরুত্থান দ্বারা, আমাদের লোক ও অ-ইহুদী এই উভয়ের কাছে আলো ঘোষণা করবেন।
24. এভাবে তিনি আত্মপক্ষ সমর্থন করছেন, এমন সময়ে ফীষ্ট উচ্চরবে বললেন, পৌল তুমি পাগল; বহুবিদ্যাভ্যাস তোমাকে পাগল করে তুলেছে।
25. পৌল বললেন, হে মহামহিম ফীষ্ট, আমি পাগল নই, কিন্তু যুক্তিপূর্ণ সত্যের উক্তি তবলিগ করছি।
26. বাস্তবিক বাদশাহ্ এসব বিষয় জানেন, আর তাঁরই সাক্ষাতে আমি সাহসপূর্বক কথা বলছি; কারণ আমার ধারণা এই যে, এর কিছুই বাদশাহ্র অগোচর নয়; যেহেতু এই সব ঘটনা তো গোপনে ঘটে নি।
27. হে বাদশাহ্ আগ্রিপ্প, আপনি কি নবীদেরকে বিশ্বাস করেন? আমি জানি আপনি বিশ্বাস করেন।