15. যখন আমি জেরুশালেমে ছিলাম, তখন ইহুদীদের প্রধান ইমামেরা ও প্রাচীনবর্গরা সেই ব্যক্তির বিষয় আবেদন করে তার বিরুদ্ধে দণ্ডাজ্ঞা যাচ্ঞা করেছিল।
16. আমি তাদেরকে এই জবাব দিয়েছিলাম, যার নামে দোষারোপ হয়, সে যতদিন দোষারোপকারীদের সঙ্গে সম্মুখা-সম্মুখি না হয় এবং আরোপিত দোষ সম্বন্ধে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না পায়, ততদিন কোন ব্যক্তিকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া রোমীয়দের প্রথা নয়।
17. পরে তারা একসঙ্গে এই স্থানে আসলে আমি কাল বিলম্ব না করে পরদিন বিচারাসনে বসে সেই ব্যক্তিকে আনতে হুকুম করলাম।
18. পরে দোষারোপকারীরা দাঁড়িয়ে, আমি যে রকম দোষ অনুমান করেছিলাম, সেই রকম কোন দোষ তার বিষয়ে উত্থাপন করলো না;
19. কিন্তু তার বিরুদ্ধে তাদের নিজের ধর্ম বিষয়ে এবং ঈসা নামে কোন মৃত ব্যক্তি, যাকে পৌল জীবিত বলতো, তার বিষয়ে কয়েকটি তর্ক উপস্থিত করলো।
20. তখন এসব বিষয় কিভাবে অনুসন্ধান করতে হবে, আমি স্থির করতে না পেরে বললাম, তুমি কি জেরুশালেমে গিয়ে সেখানে এই বিষয়ে বিচার পেতে সম্মত আছ?
21. তখন পৌল আপীল করে সম্রাটের বিচারের জন্য রক্ষিত থাকতে বিনতি করায়, আমি যে পর্যন্ত তাকে সম্রাটের কাছে পাঠিয়ে দিতে না পারি, সেই পর্যন্ত বন্দী রাখতে হুকুম দিলাম।
22. তখন আগ্রিপ্প ফীষ্টকে বললেন, আমিও সেই ব্যক্তির কাছে কথা শুনতে চেয়েছিলাম। ফীষ্ট বললেন, আগামীকাল শুনতে পাবেন।
23. অতএব পরদিন আগ্রিপ্প ও বর্ণীকি মহা আড়ম্বরের সঙ্গে আসলেন এবং প্রধান সেনাপতিদের ও নগরের প্রধান লোকদের সঙ্গে সভাস্থলে প্রবেশ করলেন, আর ফীষ্টের হুকুমে পৌলকে সেখানে আনা হল।
24. তখন ফীষ্ট বললেন, হে বাদশাহ্ আগ্রিপ্প এবং আর যাঁরা এই সভাতে উপস্থিত আছেন, আপনারা একে দেখছেন, এর বিষয়ে সমস্ত ইহুদীরা জেরুশালেমে এবং এই স্থানে আমার কাছে আবেদন করে চিৎকার করে বলেছিল, ওর আর বেঁচে থাকা উচিত নয়।
25. কিন্তু আমি দেখতে পেলাম, এ প্রাণদণ্ডের যোগ্য কোন কাজ করে নি, তবুও এই ব্যক্তি নিজে সম্রাটের কাছ আপীল করাতে একে পাঠাতে স্থির করেছি।