9. আর যারা আমার সঙ্গে ছিল, তারা সেই আলো দেখতে পেল বটে, কিন্তু যিনি আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন তাঁর বাণী শুনতে পেল না।
10. পরে আমি বললাম, প্রভু, আমি কি করবো? প্রভু আমাকে বললেন, উঠে দামেস্কে যাও, তোমাকে যা যা করতে হবে বলে নির্ধারিত আছে, সেসব সেখানেই তোমাকে বলা যাবে।
11. পরে আমি সেই আলোর তেজে দৃষ্টিহীন হওয়াতে আমার সঙ্গীরা হাত ধরে আমাকে নিয়ে চললো, আর আমি দামেস্কে উপস্থিত হলাম।
12. পরে অননিয় নামে এক ব্যক্তি, যিনি মূসার শরীয়ত অনুসারে ভক্ত এবং সেই স্থানের সমস্ত ইহুদীর কাছে সুখ্যাতিপন্ন ছিলেন,
13. তিনি আমার কাছে এসে পাশে দাঁড়িয়ে বললেন, ভাই শৌল, দৃষ্টি ফিরে পাও; তাতে আমি সেই তখনই তাঁর প্রতি দৃষ্টিপাত করে দেখতে পেলাম।
14. পরে তিনি বললেন, আমাদের পূর্বপুরুষদের আল্লাহ্ তোমাকে নিযুক্ত করেছেন, যেন তুমি তাঁর ইচ্ছা জানতে পার এবং সেই ধর্মময়কে দেখতে ও তাঁর মুখের বাণী শুনতে পাও;
15. কারণ তুমি যা যা দেখেছ ও শুনেছ, সেই বিষয়ে সকল মানুষের কাছে তাঁর সাক্ষী হবে।
16. আর এখন কেন বিলম্ব করছো? উঠ, বাপ্তিস্ম নাও ও তাঁর নামে ডেকে তোমার গুনাহ্ ধুয়ে ফেল।
17. তারপর আমি জেরুশালেমে ফিরে এসে এক দিন বায়তুল-মোকাদ্দসে মুনাজাত করছিলাম, এমন সময়ে অভিভূত হয়ে তাঁকে দেখলাম,
18. তিনি আমাকে বললেন, ত্বরা কর, শীঘ্র জেরুশালেম থেকে বের হও, কেননা এই লোকেরা আমার বিষয়ে তোমার সাক্ষ্য গ্রাহ্য করবে না।
19. আমি বললাম, প্রভু, তারা তো জানে যে, যারা তোমাতে ঈমান আনতো আমি প্রতি মজলিস-খানায় তাদেরকে প্রহার করে কারাগারে আটক রাখতাম;
20. আর যখন তোমার সাক্ষী স্তিফানের রক্তপাত হয়, তখন আমি নিজে কাছে দাঁড়িয়ে সম্মতি দিচ্ছিলাম ও যারা তাঁকে হত্যা করছিল তাদের কাপড় রক্ষা করছিলাম।