30. তখন পৌল লোকদের কাছে যেতে চাইলে সাহাবীরা তাঁকে যেতে দিলেন না।
31. আর এশিয়ার কর্মকর্তাদের মধ্যে কয়েক জন তাঁর বন্ধু ছিলেন বলে তাঁর কাছে লোক পাঠিয়ে এই নিবেদন করলেন, যেন তিনি রঙ্গভূমিতে নিজের বিপদ ঘটাতে না যান।
32. তখন নানা লোকে নানা কথা বলে চিৎকার করছিল, কেননা সভা গোলযোগে পরিপূর্ণ হয়েছিল এবং কি জন্য সমাগত হয়েছিল অধিকাংশ লোকই তা জানত না।
33. তখন ইহুদীরা আলেকজাণ্ডারকে সম্মুখে উপস্থিত করায় লোকেরা জনতার মধ্য থেকে তাকে বের করলো; তাতে আলেকজাণ্ডার হাত দিয়ে ইশারা করে লোকদের কাছে পক্ষসমর্থন করতে উদ্যত হল।
34. কিন্তু যখন তারা জানতে পারলো যে, সে ইহুদী, তখন সকলে একস্বরে অনুমান দুই ঘণ্টা কাল এই বলে চেঁচাতে থাকলো, ‘ইফিষীয়দের আর্তেমিসই মহাদেবী’।
35. শেষে নগর সমপাদক জনতাকে ক্ষান্ত করে বললেন, হে ইফিষীয় লোকেরা, বল দেখি, ইফিষীয়দের নগরী যে মহাদেবী আর্তেমিসের এবং আসমান থেকে পড়া মূর্তির রক্ষাকারী, এই সব মানুষের মধ্যে তা কে না জানে?
36. অতএব এই কথা অখণ্ডনীয় হওয়াতে তোমাদের ক্ষান্ত থাকা এবং অবিবেচনার কোন কাজ না করা উচিত।
37. কারণ এই যে লোকদেরকে তোমরা এই স্থানে এনেছ, এরা তো মন্দিরগুলোর অপহারকও নয়, আমাদের দেবীর নিন্দুকও নয়।
38. অতএব যদি কারো বিরুদ্ধে দীমীত্রিয়ের ও তার সঙ্গী কারিগরদের কোন কথা থাকে, তবে আদালত খোলা আছে, শাসনকর্তারাও আছেন, তারা পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করুক।
39. কিন্তু তোমাদের অন্য কোন দাবী-দাওয়া যদি থাকে, তবে নিয়মিত সভায় তার নিষ্পত্তি হবে।
40. বস্তুত আজকের ঘটনার কারণে দাঙ্গা-হাঙ্গামার দোষে দোষী বলে আমাদের নামে অভিযোগ হবার আশঙ্কাও আছে, যেহেতু এর কোন কারণ নেই, এই জনসমাগমের বিষয়ে উত্তর দেবার কোন উপায় আমাদের নেই।
41. এই বলে তিনি সভাকে বিদায় করলেন।