24. কারণ দীমীত্রিয় নামে এক জন স্বর্ণকার দেবী আর্তেমিসের রূপার মন্দির নির্মাণ করতো এবং কারিগরদেরকে যথেষ্ট কাজের যোগান দিত।
25. সেই ব্যক্তি তাদেরকে এবং সেই ব্যবসার কারিগরদেরকে ডেকে বললো, মহোদয়গণ, আপনারা জানেন, এই কাজের দ্বারা আমাদের বেশ অর্থ উপার্জন হয়।
26. আর আপনারা দেখছেন ও শুনছেন, কেবল এই ইফিষে নয়, প্রায় সমস্ত এশিয়ায় এই পৌল বিস্তর লোককে প্রবৃত্তি দিয়ে ফিরিয়েছে, এই কথা বলেছে যে, হাতের তৈরি দেবমূর্তি আসলে কোন দেবতাই নয়।
27. এতে এই আশঙ্কা হচ্ছে, কেবল আমাদের এই ব্যবসার দুর্নাম হবে, তা নয়; কিন্তু মহাদেবী আর্তেমিসের মন্দির নগণ্য হয়ে পড়বে, আবার যাঁকে সমস্ত এশিয়া, এমন কি, জগৎ সংসার পূজা করে, তিনিও মহিমাচ্যুত হবেন।
28. এই কথা শুনে তারা ক্রোধে পরিপূর্ণ হয়ে চিৎকার করে বলতে লাগল, ইফিষীয়দের আর্তেমিসই মহাদেবী।
29. তাতে নগর গণ্ডগোলে পরিপূর্ণ হল; পরে লোকেরা একযোগে রঙ্গভূমিতে বেগে দৌড়ে গেল, আর ম্যাসিডোনিয়ার গায় ও আরিষ্টার্খ নামে পৌলের দু’জন সহযাত্রীকে ধরে নিয়ে গেল।
30. তখন পৌল লোকদের কাছে যেতে চাইলে সাহাবীরা তাঁকে যেতে দিলেন না।
31. আর এশিয়ার কর্মকর্তাদের মধ্যে কয়েক জন তাঁর বন্ধু ছিলেন বলে তাঁর কাছে লোক পাঠিয়ে এই নিবেদন করলেন, যেন তিনি রঙ্গভূমিতে নিজের বিপদ ঘটাতে না যান।