20. এভাবে সপরাক্রমে প্রভুর কালাম বৃদ্ধি পেতে ও প্রবল হতে লাগল।
21. এসব কাজ সম্পন্ন হলে পর পৌল রূহে সঙ্কল্প করলেন যে, তিনি ম্যাসিডোনিয়া ও আখায়া যাবার পর জেরুশালেমে যাবেন, তিনি বললেন, সেখানে যাবার পর আমাকে রোম নগরও দেখতে হবে।
22. আর তীমথি ও ইরাস্ত নামে যে দু’জন তাঁর পরিচর্যা করতেন, তাঁদের তিনি ম্যাসিডোনিয়াতে প্রেরণ করলেন এবং তিনি নিজে কিছুকাল এশিয়া প্রদেশে রইলেন।
23. আর সেই সময়ে এই পথের বিষয় ভীষণ হুলস্থূল পড়ে গেল।
24. কারণ দীমীত্রিয় নামে এক জন স্বর্ণকার দেবী আর্তেমিসের রূপার মন্দির নির্মাণ করতো এবং কারিগরদেরকে যথেষ্ট কাজের যোগান দিত।
25. সেই ব্যক্তি তাদেরকে এবং সেই ব্যবসার কারিগরদেরকে ডেকে বললো, মহোদয়গণ, আপনারা জানেন, এই কাজের দ্বারা আমাদের বেশ অর্থ উপার্জন হয়।
26. আর আপনারা দেখছেন ও শুনছেন, কেবল এই ইফিষে নয়, প্রায় সমস্ত এশিয়ায় এই পৌল বিস্তর লোককে প্রবৃত্তি দিয়ে ফিরিয়েছে, এই কথা বলেছে যে, হাতের তৈরি দেবমূর্তি আসলে কোন দেবতাই নয়।
27. এতে এই আশঙ্কা হচ্ছে, কেবল আমাদের এই ব্যবসার দুর্নাম হবে, তা নয়; কিন্তু মহাদেবী আর্তেমিসের মন্দির নগণ্য হয়ে পড়বে, আবার যাঁকে সমস্ত এশিয়া, এমন কি, জগৎ সংসার পূজা করে, তিনিও মহিমাচ্যুত হবেন।
28. এই কথা শুনে তারা ক্রোধে পরিপূর্ণ হয়ে চিৎকার করে বলতে লাগল, ইফিষীয়দের আর্তেমিসই মহাদেবী।
29. তাতে নগর গণ্ডগোলে পরিপূর্ণ হল; পরে লোকেরা একযোগে রঙ্গভূমিতে বেগে দৌড়ে গেল, আর ম্যাসিডোনিয়ার গায় ও আরিষ্টার্খ নামে পৌলের দু’জন সহযাত্রীকে ধরে নিয়ে গেল।
30. তখন পৌল লোকদের কাছে যেতে চাইলে সাহাবীরা তাঁকে যেতে দিলেন না।
31. আর এশিয়ার কর্মকর্তাদের মধ্যে কয়েক জন তাঁর বন্ধু ছিলেন বলে তাঁর কাছে লোক পাঠিয়ে এই নিবেদন করলেন, যেন তিনি রঙ্গভূমিতে নিজের বিপদ ঘটাতে না যান।
32. তখন নানা লোকে নানা কথা বলে চিৎকার করছিল, কেননা সভা গোলযোগে পরিপূর্ণ হয়েছিল এবং কি জন্য সমাগত হয়েছিল অধিকাংশ লোকই তা জানত না।
33. তখন ইহুদীরা আলেকজাণ্ডারকে সম্মুখে উপস্থিত করায় লোকেরা জনতার মধ্য থেকে তাকে বের করলো; তাতে আলেকজাণ্ডার হাত দিয়ে ইশারা করে লোকদের কাছে পক্ষসমর্থন করতে উদ্যত হল।
34. কিন্তু যখন তারা জানতে পারলো যে, সে ইহুদী, তখন সকলে একস্বরে অনুমান দুই ঘণ্টা কাল এই বলে চেঁচাতে থাকলো, ‘ইফিষীয়দের আর্তেমিসই মহাদেবী’।
35. শেষে নগর সমপাদক জনতাকে ক্ষান্ত করে বললেন, হে ইফিষীয় লোকেরা, বল দেখি, ইফিষীয়দের নগরী যে মহাদেবী আর্তেমিসের এবং আসমান থেকে পড়া মূর্তির রক্ষাকারী, এই সব মানুষের মধ্যে তা কে না জানে?
36. অতএব এই কথা অখণ্ডনীয় হওয়াতে তোমাদের ক্ষান্ত থাকা এবং অবিবেচনার কোন কাজ না করা উচিত।
37. কারণ এই যে লোকদেরকে তোমরা এই স্থানে এনেছ, এরা তো মন্দিরগুলোর অপহারকও নয়, আমাদের দেবীর নিন্দুকও নয়।
38. অতএব যদি কারো বিরুদ্ধে দীমীত্রিয়ের ও তার সঙ্গী কারিগরদের কোন কথা থাকে, তবে আদালত খোলা আছে, শাসনকর্তারাও আছেন, তারা পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করুক।