10. তিনি সেই দর্শন পেলে আমরা অবিলম্বে ম্যাসিডোনিয়া দেশে যেতে চেষ্টা করলাম, কারণ বুঝলাম, সেখানকার লোকদের কাছে সুসমাচার তবলিগ করতে আল্লাহ্ আমাদেরকে ডেকেছেন।
11. আমরা ত্রোয়া থেকে যাত্রা করে সোজা পথে সামথ্রীতে এবং তার পরদিন নিয়াপলিতে উপস্থিত হলাম।
12. সেখান থেকে ফিলিপীতে গেলাম; সেটি ম্যাসিডোনিয়ার ঐ বিভাগের প্রধান নগর, রোমীয় উপনিবেশ। সেই নগরে আমরা কয়েক দিন অবস্থিতি করলাম।
13. আর বিশ্রামবারে নগর-দ্বারের বাইরে নদীতীরে গেলাম, মনে করলাম, সেখানে মুনাজাতের স্থান আছে; আর আমরা বসে সমাগত স্ত্রীলোকদের কাছে কথা বলতে লাগলাম।
14. আর সেই স্থানে থুয়াতীরা নগরের লুদিয়া নাম্নী এক জন আল্লাহ্-ভক্ত স্ত্রীলোক আমাদের কথা শুনছিলেন। তিনি বেগুনিয়া কাপড় বিক্রি করতেন, আর প্রভু তাঁর হৃদয় খুলে দিলেন, যেন তিনি পৌলের কথায় মনোযোগ দেন।
15. তিনি ও তাঁর পরিবার বাপ্তিস্ম নিলে পর তিনি ফরিয়াদ করে বললেন, আপনারা যদি আমাকে প্রভুতে ঈমানদার বলে বিবেচনা করে থাকেন, তবে আমার বাড়িতে এসে থাকুন। আর তিনি আমাদেরকে সাধ্যসাধনা করে নিয়ে গেলেন।
16. একদিন আমরা সেই মুনাজাতের স্থানে যাচ্ছিলাম, এমন সময়ে দৈবজ্ঞ রূহ্বিশিষ্টা এক জন বাঁদীর সঙ্গে আমাদের দেখা হল। সে ভবিষ্যতের কথা বলতে পারতো এবং তাতে তার কর্তাদের বিস্তর লাভ হত।
17. সে পৌলের এবং আমাদের পিছনে যেতে যেতে চেঁচিয়ে বলতে লাগল, এই ব্যক্তিরা সর্বশক্তিমানের গোলাম, এঁরা তোমাদেরকে নাজাতের পথ জানাচ্ছেন।
18. সে অনেক দিন পর্যন্ত এরকম করতে থাকলো। কিন্তু পৌল বিরক্ত হয়ে মুখ ফিরিয়ে সেই রূহ্কে বললেন, আমি ঈসা মসীহের নামে তোমাকে হুকুম দিচ্ছি, এর মধ্য থেকে বের হয়ে যাও; তাতে সেই মুহূর্তেই সে বের হয়ে গেল।