45. কিন্তু ইহুদীরা লোকসমারোহ দেখে ঈর্ষাতে পরিপূর্ণ হল এবং নিন্দা করতে করতে পৌলের কথার প্রতিবাদ করতে লাগল।
46. আর পৌল ও বার্নাবাস সাহস-পূর্বক কথা বললেন, বললেন, প্রথমে তোমাদেরই কাছে আল্লাহ্র কালাম তবলিগ করা আমাদের আবশ্যক ছিল; তোমরা যখন তা ঠেলে ফেলে দিচ্ছ এবং তোমাদের নিজেদেরকে অনন্ত জীবনের অযোগ্য বিবেচনা করছো, তখন দেখ, আমরা অ-ইহুদীদের দিকে ফিরছি।
47. কেননা প্রভু আমাদেরকে এরকম হুকুম দিয়েছেন,“আমি তোমাকে জাতিদের কাছে দীপ্তিস্বরূপ করেছি,যেন তুমি দুনিয়ার সীমা পর্যন্ত নাজাতস্বরূপ হও।”
48. এই কথা শুনে অ-ইহুদীরা আনন্দিত হল ও প্রভুর কালামের গৌরব করতে লাগল; এবং যত লোক অনন্ত জীবনের জন্য নির্ধারিত হয়েছিল, তারা ঈমান আনলো।
49. আর প্রভুর কালাম সেই দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লো।
50. কিন্তু ইহুদীরা ভক্ত ভদ্র মহিলাদেরকে ও নগরের প্রধানবর্গকে উত্তেজিত করে তুলে পৌলের ও বার্নাবাসের প্রতি নির্যাতন শুরু করলো এবং তাদের সীমানা থেকে তাঁদের বের করে দিল।
51. তখন তাঁরা তাদের বিরুদ্ধে পায়ের ধুলা ঝেড়ে দিয়ে ইকনিয় শহরে চলে গেলেন।
52. আর সাহাবীরা আনন্দে ও পাক-রূহে পরিপূর্ণ হতে থাকলেন।