34. তখন পিতর মুখ খুলে বললেন, আমি সত্যিই বুঝলাম, আল্লাহ্ মুখাপেক্ষা করেন না;
35. কিন্তু প্রত্যেক জাতির মধ্যে যে কেউ তাঁকে ভক্তিপূর্ণ ভয় করে ও সঠিক কাজ করে, সে তাঁর গ্রাহ্য হয়।
36. আপনারা তো জানেন যে, তিনি বনি-ইসরাইলদের কাছে একটি খবর প্রেরণ করেছেন; ঈসা মসীহ্ দ্বারা শান্তি তবলিগ করেছেন; তিনিই সকলের প্রভু।
37. ইয়াহিয়া কর্তৃক তবলিগকৃত বাপ্তিস্মর পর গালীল থেকে আরম্ভ হয়ে সেই খবর সমুদয় এহুদিয়াতে ছড়িয়ে গেল।
38. আপনারা তো এও জানেন যে, আল্লাহ্ নাসরতীয় ঈসাকে কিভাবে পাক-রূহে ও পরাক্রমে অভিষেক করেছিলেন; তিনি ভাল কাজ করে বেড়াতেন এবং শয়তানের দ্বারা কষ্ট পাওয়া সমস্ত লোককে সুস্থ করতেন; কারণ আল্লাহ্ তাঁর সহবর্তী ছিলেন।
39. আর তিনি ইহুদীদের জনপদে ও জেরুশালেমে যা যা করেছেন, আমরা সেই সবের সাক্ষী। লোকেরা তাঁকে ক্রুশে টাঙ্গিয়ে হত্যা করেছিল।
40. কিন্তু আল্লাহ্ তাঁকে তৃতীয় দিনে উঠালেন এবং প্রত্যক্ষ হতে দিলেন;
41. সমস্ত লোকের প্রত্যক্ষ, এমন নয়, কিন্তু আগে আল্লাহ্ কর্তৃক নিযুক্ত সাক্ষীদের, অর্থাৎ আমাদের প্রত্যক্ষ হতে দিলেন, আর আমরা মৃতদের মধ্য থেকে তাঁর পুনরুত্থান হলে পর তাঁর সঙ্গে ভোজন পান করেছি।
42. আর তিনি হুকুম করলেন, যেন আমরা লোকদের কাছে তবলিগ করি ও সাক্ষ্য দিই যে, তাঁকেই আল্লাহ্ জীবিত ও মৃত লোকদের বিচারকর্তা নিযুক্ত করেছেন।
43. তাঁর পক্ষে নবীরা সকলে এই সাক্ষ্য দিয়েছেন, যে কেউ তাঁতে ঈমান আনে, সে তাঁর নামের গুণে গুনাহের মাফ পায়।
44. পিতর এই কথা বলছেন, এমন সময়ে যত লোক কালাম শুনছিল, সকলের উপরে পাক-রূহ্ নেমে আসলেন।
45. তখন পিতরের সঙ্গে আগত খৎনাপ্রাপ্ত ঈমানদার লোকেরা আশ্চর্য হয়ে গেলেন, কারণ অ-ইহুদীদের উপরেও পাক-রূহ্রূপ দানের সেচন হল;
46. কেননা তাঁরা ওদেরকে নানা ভাষায় কথা বলতে ও আল্লাহ্র মহিমা ঘোষণা করতে শুনলেন।
47. তখন পিতর জবাবে বললেন, এই যে লোকেরা আমাদেরই মত পাক-রূহ্ পেয়েছেন, পানিতে বাপ্তিস্ম গ্রহণ করতে কি কোন লোক এঁদের বাধা দিতে পারে?
48. পরে তিনি ঈসা মসীহের নামে তাঁদেরকে বাপ্তিস্ম দেবার হুকুম দিলেন। তখন তারা কয়েক দিন থাকতে তাঁকে ফরিয়াদ জানালেন।