7. তিনি তাঁদেরকে বললেন, যেসব সময় বা কাল পিতা নিজের কর্তৃত্বের অধীন রেখেছেন, তা তোমাদের জানবার বিষয় নয়।
8. কিন্তু পাক-রূহ্ তোমাদের উপরে আসলে পর তোমরা শক্তি পাবে; আর তোমরা জেরুশালেমে, সমুদয় এহুদিয়া ও সামেরিয়া প্রদেশে এবং দুনিয়ার শেষপ্রান্ত পর্যন্ত আমার সাক্ষী হবে।
9. এই কথা বলবার পর তিনি তাঁদের দৃষ্টিতে ঊর্ধ্বে নীত হলেন এবং একখানি মেঘ তাঁকে তাঁদের দৃষ্টিপথের আড়ালে নিয়ে গেল।
10. তিনি যাচ্ছেন, আর তাঁরা আসমানের দিকে একদৃষ্টে চেয়ে আছেন, এমন সময়ে দেখ, সাদা কাপড় পরা দু’জন পুরুষ তাঁদের কাছে দাঁড়ালেন;
11. আর তাঁরা বললেন, হে গালীলীয় লোকেরা, তোমরা এখানে দাঁড়িয়ে আসমানের দিকে তাকিয়ে রয়েছ কেন? এই যে ঈসা তোমাদের কাছ থেকে বেহেশতে ঊর্ধ্বে নীত হলেন, তাঁকে যেভাবে বেহেশতে তুলে নেওয়া হল সেভাবে তিনি ফিরে আসবেন।
12. তখন তাঁরা জৈতুন নামক পর্বত থেকে জেরুশালেমে ফিরে গেলেন। সেই পর্বতটি জেরুশালেমের নিকটবর্তী, প্রায় অর্ধেক মাইলের পথ।
13. নগরে প্রবেশ করলে পর তাঁরা যেখানে অবস্থান করছিলেন, সেই উপরের কুঠরিতে গেলেন। এঁরা ছিলেন পিতর, ইউহোন্না, ইয়াকুব ও আন্দ্রিয়, ফিলিপ ও থোমা, বর্থলময় ও মথি, আলফ্েয়ের পুত্র ইয়াকুব ও উদ্যোগী শিমোন এবং ইয়াকুবের (ভাই) এহুদা।
14. এঁরা সকলে স্ত্রীলোকদের সঙ্গে এবং ঈসার মা মরিয়মের ও তাঁর ভাইদের সঙ্গে এক চিত্তে মুনাজাতে নিবিষ্ট রইলেন।
15. সেই সময়ে এক দিন যখন অনুমান এক শত বিশ জন এক স্থানে সমবেত ছিলেন তখন পিতর ভাইদের মধ্যে দাঁড়িয়ে বললেন,
16. ‘হে ভাইয়েরা, এহুদার বিষয়ে পাক-রূহ্ দাউদের মুখ দিয়ে আগেই যা বলেছিলেন, সেই কিতাবের কথা পূর্ণ হওয়া আবশ্যক ছিল। যারা ঈসাকে ধরেছিল, এই এহুদাই তাদের পথপ্রদর্শক হয়েছিল;
17. কেননা সেই ব্যক্তি আমাদেরই এক জন ছিল এবং এই পরিচর্যা-কাজের অধিকার পেয়েছিল।’
18. সে অধর্মের বেতন দ্বারা একখণ্ড ভূমি ক্রয় করলো এবং সেই ভূমিতে অধোমুখে পড়ে তার পেট ফেটে গেল ও নাড়িভুঁড়িগুলো বের হয়ে পড়লো।
19. আর জেরুশালেম-নিবাসী সকল লোকে তা জানতে পেরেছিল; এজন্য তাদের ভাষায় ঐ ক্ষেত হকলদামা, অর্থাৎ রক্তক্ষেত, নামে আখ্যাত।