9. আর যে সাত জন ফেরেশতার কাছে সাতটি শেষ আঘাতে পরিপূর্ণ সাতটি বাটি ছিল, তাঁদের মধ্যে এক জন ফেরেশতা এসে আমার সঙ্গে আলাপ করে বললেন, এসো, আমি তোমাকে সেই কনেকে, মেষশাবকের ভার্যাকে দেখাই।
10. পরে তিনি রূহে আমাকে একটি উঁচু মহাপর্বতে নিয়ে গিয়ে পবিত্র নগরী জেরুশালেমকে দেখালেন, সেটি বেহেশত থেকে, আল্লাহ্র কাছ থেকে নেমে আসছিল।
11. সেটি আল্লাহ্র মহিমা-বিশিষ্ট; তার উজ্জ্বলতা বহুমূল্য মণির, স্ফটিকের মত নির্মল সূর্যকান্তমণির মত।
12. সেই নগরের একটি বড় ও উঁচু প্রাচীর আছে এবং বারোটি তোরণদ্বার আছে। সেসব তোরণদ্বারে বারোজন ফেরেশতা থাকেন। সেই সব তোরণদ্বারে বনি-ইসরাইলদের বারো বংশের নাম লেখা আছে।
13. তোরণদ্বারগুলোর মধ্যে আছে পূর্ব দিকে তিনটি দ্বার, উত্তর দিকে তিনটি দ্বার, দক্ষিণ দিকে তিনটি দ্বার ও পশ্চিম দিকে তিনটি দ্বার।
14. আর নগরের প্রাচীরের বারোটি ভিত্তিমূল আছে, সেগুলোর উপরে মেষশাবকের বারো জন প্রেরিতের বারোটি নাম লেখা আছে।
15. আর যিনি আমার সঙ্গে আলাপ করছিলেন, তাঁর হাতে ঐ নগর ও তার তোরণদ্বারগুলো ও তার প্রাচীর মাপবার জন্য একটি সোনার নল ছিল।
16. ঐ নগরটি চারকোনা বিশিষ্ট— লম্বা ও চওড়ায় সমান। আর তিনি সেই নল দ্বারা নগর মাপলে পর পনের শত মাইল হল; সেটি লম্বা, চওড়া ও উচ্চতা এক সমান।
17. পরে তার প্রাচীর মাপলে, মানুষের অর্থাৎ ফেরেশতার পরিমাপ অনুসারে একশত চুয়াল্লিশ হাত হল।
18. প্রাচীরের গাঁথুনি সূর্যকান্তমণির এবং নগর নির্মল কাচের মত পরিষ্কার করা সোনার তৈরি।
19. নগরের প্রাচীরের ভিত্তিমূলগুলো সব রকম মূল্যবান মণিতে ভূষিত; প্রথম ভিত্তিমূল সূর্যকান্তের, দ্বিতীয়টি নীলকান্তের, তৃতীয়টি তাম্রমণির, চতুর্থটি মরকতের,
20. পঞ্চমটি বৈদুর্যের, ষষ্ঠটি সার্দ্দীয় মণির, সপ্তমটি পোখরাজের, অষ্টমটি গোমেদকের, নবমটি পদ্মরাগের, দশমটি লশুনীয়ের, একাদশটি পেরোজের, দ্বাদশটি কটাহেলার।