15. সেরকমভাবে নীকলায়তীয়দের শিক্ষা অনুসারে যারা চলে এমন কয়েকজনও তোমার কাছে আছে।
16. অতএব মন ফিরাও, নতুবা আমি শীঘ্রই তোমার কাছে আসবো এবং আমার মুখের তরবারি দ্বারা তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করবো।
17. যার কান আছে, সে শুনুক, রূহ্ মণ্ডলীগুলোকে কি বলছেন। যে জয় করে তাকে আমি গুপ্ত “মান্না” এবং একখানি শ্বেত পাথর দেব, সেই পাথরের উপরে “নতুন একটি নাম” লেখা আছে; আর কেউই সেই নাম জানে না, কেবল যে তা গ্রহণ করে, সেই জানে।
18. আর থুয়াতীরায় অবস্থিত মণ্ডলীর ফেরেশতাকে এই কথা লিখ—যিনি আল্লাহ্র পুত্র, যাঁর চোখ আগুনের শিখার মত ও যাঁর পা উজ্জ্বল ব্রোঞ্জের মত, তিনি এই কথা বলেন;
19. আমি জানি তোমার কাজগুলো ও তোমার মহব্বত ও ঈমান ও পরিচর্যা ও ধৈর্য, আর তোমার প্রথম কাজের চেয়ে শেষ কাজ যে বেশি তাও আমি জানি।
20. তবুও তোমার বিরুদ্ধে আমার কথা আছে; ঈষেবল নাম্নী যে নারী নিজেকে মহিলা-নবী বলে, তুমি তাকে প্রশ্রয় দিচ্ছ এবং সে আমারই গোলামদেরকে পতিতাগমন ও মূর্তির কাছে উৎসর্গ-করা খাবার ভোজন করতে শিক্ষা দিয়ে ভুলাচ্ছে।
21. আমি তাকে মন ফিরাবার জন্য সময় দিয়েছিলাম, কিন্তু সে নিজের জেনা থেকে মন ফিরাতে চায় না।
22. দেখ, আমি তাকে বিছানায় ফেলে রাখব এবং যারা তার সঙ্গে জেনা করে, তারা যদি তার কাজ থেকে মন না ফিরায়, তবে তাদেরকে ভীষণ কষ্টের মধ্যে ফেলে দেব;
23. আর আমি তার সন্তানদেরকে আঘাত করে হত্যা করবো; তাতে সমস্ত মণ্ডলী জানতে পারবে, “আমি মর্মের ও হৃদয়ের অনুসন্ধানকারী, আর আমি তোমাদের প্রত্যেককে তাদের কাজ অনুসারে ফল দিব”।
24. কিন্তু থুয়াতীরাতে অবশিষ্ট তোমাদের যত জন সেই শিক্ষা গ্রহণ করে নি, লোকে যাকে গভীরতত্ত্ব বলে, শয়তানের সেই গভীরতত্ত্বগুলো যারা জানে নি— তাদের বলছি, তোমাদের উপরে আমি অন্য কোন ভার অর্পণ করি না;
25. কেবল যা তোমাদের আছে, তা আমার আগমন পর্যন্ত দৃঢ়ভাবে ধারণ কর।