3. কেননা সমুদয় জাতি তার জেনার গজবের মদ পান করেছে,এবং দুনিয়ার বাদশাহ্রা তার সঙ্গে জেনা করেছে,এবং দুনিয়ার বণিকেরা তার বিলাসিতার প্রভাবে ধনবানহয়েছে।’
4. পরে আমি বেহেশত থেকে এরকম আর একটি বাণী শুনলাম,‘হে আমার লোকেরা, এর মধ্য থেকে বের হয়ে এসো,যেন ওর গুনাহ্গুলোর সহভাগী না হও,এবং ওর আঘাতগুলো যেন না পাও।
5. কেননা ওর গুনাহ্ আসমান পর্যন্ত উঁচু হয়েছে,এবং আল্লাহ্ ওর অপরাধগুলো স্মরণ করেছেন।
6. সে যেরকম ব্যবহার করতো,তোমরাও তার প্রতি সেরকম ব্যবহার কর;আর তার কাজ অনুসারে দ্বিগুণ, দ্বিগুণ প্রতিফল তাকে দাও;সে যে পাত্রে পানীয় প্রস্তুত করতো,সেই পাত্রে তার জন্য দ্বিগুণ পরিমাণে পানীয় প্রস্তুত কর।
7. সে যত নিজেকে মহিমান্বিত করতো ও বিলাসিতা করতো,তাকে তত যন্ত্রণা ও শোক দাও।কেননা সে মনে মনে বলছে,আমি রাণীর মত সিংহাসনে বসে আছি;আমি বিধবা নই,কোন মতে শোক দেখবো না।
8. এজন্য একই দিনে তার আঘাতগুলো উপস্থিত হবে,সেগুলো হল মৃত্যু, শোক ও দুর্ভিক্ষ,এবং তাকে আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হবে,কারণ তার বিচারকর্তা প্রভু আল্লাহ্ শক্তিমান।
9. আর দুনিয়ার যেসব বাদশাহ্ তার সঙ্গে জেনা করতো,তার সঙ্গে বিলাসিতায় বাস করতো,তারা তার দাহের ধোঁয়া দেখে তার জন্য কান্নাকাটি করবে ও বুকেকরাঘাত করবে;
10. তার যন্ত্রণার ভয়ে দূরে দাঁড়িয়ে তারা বলবে,হায়! হায়! সেই মহানগরী!ব্যাবিলন, সেই পরাক্রান্ত নগরী!কারণ এক ঘণ্টার মধ্যেই তোমার বিচার উপস্থিত!
11. আর দুনিয়ার বণিকেরা তার জন্য কান্নাকাটি ও মাতম করছে; কারণ তাদের বাণিজ্য-দ্রব্য কেউ আর ক্রয় করে না;
12. এসব বাণিজ্য-দ্রব্য — সোনা, রূপা, বহু-মূল্য মণি, মুক্তা, মসীনার কাপড়, বেগুনিয়া কাপড়, রেশমী কাপড়, লাল রংয়ের কাপড়; সমস্ত রকম চন্দন কাঠ, হাতির দাঁতের সমস্ত রকম পাত্র, বহুমূল্য কাঠের ও ব্রোঞ্জের লোহার ও মর্মরের সমস্ত রকম পাত্র,