7. তিনি জোরে জোরে এই কথা বললেন, আল্লাহ্কে ভয় কর ও তাঁর গৌরব কর, কেননা তাঁর বিচার-সময় উপস্থিত; যিনি বেহেশত, দুনিয়া, সমুদ্র ও পানির ফোয়ারাগুলো উৎপন্ন করেছেন, তাঁর এবাদত কর।
8. পরে তাঁর পিছনে দ্বিতীয় এক জন ফেরেশতা আসলেন, তিনি বললেন,“পড়লো, পড়লো সেই মহতী ব্যাবিলন, যে সমস্ত জাতিকেতার বেশ্যাক্রিয়ার গজবের-মদ পান করিয়েছে।”
9. পরে তৃতীয় এক ফেরেশতা ওঁদের পিছনে আসলেন, তিনি জোরে জোরে এই কথা বললেন, যদি কেউ সেই পশু ও তার মূর্তির এবাদত করে, আর নিজের ললাটে বা হাতে চিহ্ন ধারণ করে,
10. তবে সেই ব্যক্তিও আল্লাহ্র সেই “গজবের-মদ পান করবে, যা তাঁর গজবের পানপাত্রে অমিশ্রিতরূপে প্রস্তুত করা হয়েছে”; এবং পবিত্র ফেরেশতাদের সাক্ষাতে ও মেষশাবকের সাক্ষাতে “আগুনে ও গন্ধকে যাতনা পাবে।
11. তাদের যাতনার ধোঁয়া যুগপর্যায়ের যুগে যুগে ওঠে”; যারা সেই পশু ও তার প্রতিমূর্তির এবাদত করে এবং যে কেউ তার নামের চিহ্ন ধারণ করে, তারা দিনে বা রাতে কখনও বিশ্রাম পায় না।
12. যারা আল্লাহ্র হুকুম পালন করে ও ঈসার ঈমান ধারণ করে সেই পবিত্র লোকদের এজন্য ধৈর্য থাকা দরকার।
13. পরে আমি বেহেশত থেকে এই বাণী শুনলাম, তুমি লেখ, ধন্য সেই মৃতেরা যারা এখন থেকে প্রভুতে মৃত্যুবরণ করে, হ্যাঁ, পাক-রূহ্ বলছেন, তারা নিজ নিজ পরিশ্রম থেকে বিশ্রাম পাবে; কারণ তাদের কাজগুলো তাদের সঙ্গে সঙ্গে চলে।
14. আর আমি দৃষ্টিপাত করলাম, আর দেখ, সাদা রংয়ের একখানি মেঘ, “সেই মেঘের উপরে ইবনুল-ইনসানের মত এক ব্যক্তি” বসে আছেন, তাঁর মাথায় সোনা মুকুট ও তাঁর হাতে একখানি ধারালো কাস্তে।
15. পরে এবাদতখানা থেকে আর এক জন ফেরেশতা বের হয়ে, যিনি মেঘের উপরে বসে আছেন, তাঁকে জোরে চিৎকার করে বললেন, “আপনার কাস্তে লাগান, শস্য কাটুন, কারণ শস্য কাটবার সময় এসেছে;” কেননা দুনিয়ার শস্য পেকে গেছে।
16. তাতে, যিনি মেঘের উপরে বসে আছেন, তিনি তাঁর কাস্তে দুনিয়াতে লাগালেন ও দুনিয়ার শস্য কাটা হল।
17. পরে বেহেশতী এবাদতখানা থেকে আর এক জন ফেরেশতা বের হলেন; তাঁর হাতেও একখানি ধারালো কাস্তে ছিল।
18. আর কোরবানগাহ্ থেকে অন্য এক জন ফেরেশতা বের হলেন, তিনি আগুনের উপরে কর্তৃত্ববিশিষ্ট, তিনি ঐ ধারালো কাস্তেধারী ব্যক্তিকে জোরে ডেকে এই কথা বললেন, তোমার ধারালো কাস্তে লাগাও, দুনিয়ার আঙ্গুরলতার গুচ্ছগুলো কেটে ফেল, কেননা তার ফল পেকে গেছে।
19. তাতে ঐ ফেরেশতা দুনিয়াতে তাঁর কাস্তে লাগিয়ে দুনিয়ার আঙ্গুর-গুচ্ছ কেটে ফেললেন, আর আল্লাহ্র গজবের মহাকুণ্ডে নিক্ষেপ করলেন।
20. পরে নগরের বাইরে ঐ কুণ্ডে তা দলন করা গেল, তাতে কুণ্ড থেকে রক্ত বের হল এবং ঘোড়াগুলোর বল্গা পর্যন্ত উঠে দুই শত মাইল পর্যন্ত সমস্ত জায়গা রক্তে ডুবে গেল।