10. আমি প্রভুর দিনে রূহ্বিষ্ট হলাম এবং আমার পিছনে তূরী-ধ্বনির মত একটি মহারব শুনলাম।
11. কেউ বললেন, তুমি যা দেখছ, তা একটি কিতাবে লেখ এবং ইফিষ, স্মুর্ণা, পর্গাম, থুয়াতীরা, সার্দি, ফিলাদিল্ফিয়া ও লায়দিকেয়া— এই সাতটি মণ্ডলীর কাছে পাঠিয়ে দাও।
12. তাতে আমার প্রতি যাঁর বাণী হচ্ছিল, তাঁকে দেখবার জন্য আমি মুখ ফিরালাম; মুখ ফিরিয়ে সাতটি সোনার প্রদীপ-আসন দেখলাম,
13. ও সেসব প্রদীপ-আসনের মধ্যে ইবনুল-ইন্সানের মত এক ব্যক্তি, পা পর্যন্ত পোশাকে ঢাকা এবং “বক্ষঃস্থলে সোনার পটি বাঁধা ছিল;
14. তাঁর মাথা ও চুল সাদা রংয়ের ভেড়ার লোমের মত, হিমের মত সাদা রংয়ের এবং তাঁর চোখ আগুনের শিখার মত,
15. এবং তাঁর পা আগুনে পোড়ানো পরিষ্কার করা উজ্জ্বল ব্রোঞ্জের মত এবং তাঁর গলার আওয়াজ পানির স্রোতের শব্দের মত।
16. আর তাঁর ডান হাতে সাতটি তারা আছে এবং তাঁর মুখ থেকে ধারালো দ্বিধার তরবারি বের হচ্ছে এবং তাঁর মুখমণ্ডল পূর্ণ তেজে জ্বলন্ত সূর্যের মত।
17. তাঁকে দেখামাত্র আমি মরার মত হয়ে তাঁর পায়ে পড়লাম। তখন তিনি ডান হাত দিয়ে আমাকে স্পর্শ করে বললেন, ভয় করো না, আমি প্রথম ও শেষ; আমি জীবন্ত;
18. আমি মারা গিয়েছিলাম, আর দেখ, আমি যুগ-পর্যায়ের যুগে যুগে জীবন্ত; আর মৃত্যু ও পাতালের চাবি আমার হাতে আছে।
19. অতএব তুমি যা যা দেখলে এবং যা যা আছে ও এর পরে যা যা হবে, সেসবই লিখে রাখবে।
20. আমার ডান হাতে যে সাতটি তারা এবং সাতটি সোনার প্রদীপ-আসন দেখলে তার নিগূঢ়তত্ত্ব এই— সেই সাতটি তারা ঐ সাতটি মণ্ডলীর ফেরেশতা এবং সেই সাতটি প্রদীপ-আসন ঐ সাতটি মণ্ডলী।