4. এইভাবে তারা আমার কাছে চারবার লোক পাঠাল, আর আমি তাদেরকে সেই একই রকম জবাব দিলাম।
5. পরে সন্বল্লট একইভাবে পঞ্চমবার আমার কাছে তার ভৃত্যকে পাঠাল, তার হাতে একটি খোলা চিঠি ছিল;
6. তাতে এই কথা লেখা ছিল, জাতিদের মধ্যে এই গুজব হচ্ছে এবং গেশমও বলছে যে, তুমি ও ইহুদীরা রাজদ্রোহ করার সঙ্কল্প করছো; এজন্য তুমি প্রাচীর নির্মাণ করছো; আর এই গুজবের মর্ম এই যে, তুমি তাদের বাদশাহ্ হতে যাচ্ছ।
7. আর এহুদা দেশে এক জন বাদশাহ্ আছেন, নিজের বিষয়ে জেরুশালেমে এই বিষয়ে প্রচার করাবার জন্য তুমি নবীদেরকেও নিযুক্ত করেছ। এখন এই গুজব বাদশাহ্র কাছে উপস্থিত হবে; অতএব এসো, আমরা একত্র হয়ে পরামর্শ করি।
8. তখন আমি তাকে বলে পাঠালাম, তুমি যেসব কথা বলছো সেরকম কোন কাজ হয় নি; কিন্তু তুমি মনগড়া কথা বলছো।
9. কারণ তারা সকলে আমাদেরকে ভয় দেখাতে চাইত, বলতো, এই কাজে ওদের হাত দুর্বল হোক, তাতে তা সমাপ্ত হবে না। কিন্তু এখন, হে আল্লাহ্, তুমি আমার হাত সবল কর।
10. পরে মহেটবেলের সন্তান দলায়ের পুত্র যে শময়িয় তার বাড়িতে লুকিয়ে ছিল, আমি সেখানে গেলাম; আর সে বললো, এসো, আমরা আল্লাহ্র গৃহে, বায়তুল-মোকাদ্দসের ভিতরে একত্র হই ও বায়তুল-মোকাদ্দসের সমস্ত দ্বার রুদ্ধ করি, কেননা লোকে তোমাকে হত্যা করতে আসবে, রাতেই তোমাকে হত্যা করতে আসবে।
11. তখন আমি বললাম আমার মত লোক কি পালিয়ে যাবে? আমার মত কোন লোক কি প্রাণ বাঁচাবার জন্য বায়তুল মোকাদ্দসে আশ্রয় নেবে? আমি সেখানে প্রবেশ করবো না।
12. আর আমি টের পেলাম, দেখ, আল্লাহ্ তাকে পাঠান নি, সে আমার বিপক্ষে ভবিষ্যদ্বাণী উচ্চারণ করেছে এবং টোবিয় ও সন্বল্লট তাকে ঘুষ দিয়েছে।
13. তাকে এজন্য ঘুষ দেওয়া হয়েছিল, যেন আমি ভয় পেয়ে সেই কাজ করি ও গুনাহ্ করি এবং তারা যেন আমার দুর্নাম করার সূত্র পেয়ে আমাকে টিট্কারি দিতে পারে।
14. হে আমার আল্লাহ্, টোবিয় ও সন্বল্লটের এই কাজ অনুসারে তাদেরকে এবং নোয়দিয়া মহিলা-নবীকে ও অন্য যে নবীরা আমাকে ভয় দেখাতে চাইত, তাদেরকেও স্মরণ কর।
15. ইলূল মাসের পঞ্চবিংশ দিনে, বায়ান্ন দিনের মধ্যে প্রাচীর সমাপ্ত হল।
16. পরে আমাদের সমস্ত দুশমন যখন তা শুনতে পেল, তখন আমাদের চারদিকের জাতিরা সকলে ভয় পেল এবং নিজেদের দৃষ্টিতে নিতান্ত লঘু মনে করলো, কেননা এই কাজ যে আমাদের আল্লাহ্ দ্বারাই হল, এই বিষয়টি তারা বুঝতে পারলো।