28. আর তোমরা সেখানে মানুষের হাতের তৈরি দেবতাদের— যারা দেখতে, শুনতে, ভোজন করতে ও ঘ্রাণ নিতে পারে না এমন কাঠ ও পাথরের তৈরি— তাদের সেবা করবে।
29. কিন্তু সেখানে থেকে যদি তোমরা তোমাদের আল্লাহ্ মাবুদের খোঁজ কর, তবে তাঁর উদ্দেশ পাবে; সমস্ত অন্তর ও সমস্ত প্রাণের সঙ্গে তাঁর খোঁজ করলে পাবে।
30. যখন তোমার সঙ্কট উপস্থিত হয় এবং এসব তোমার প্রতি ঘটে, তখন সেই ভাবী কালে তুমি তোমার আল্লাহ্ মাবুদের প্রতি ফিরবে ও তাঁর বাধ্য হয়ে চলবে।
31. কারণ তোমার আল্লাহ্ মাবুদ কৃপাময় আল্লাহ্; তিনি তোমাকে ত্যাগ করবেন না, তোমাকে বিনাশ করবেন না এবং কসম দ্বারা তোমার পূর্বপুরুষদের কাছে যে নিয়ম করেছেন তা ভুলে যাবেন না।
32. কারণ, দুনিয়াতে আল্লাহ্ কর্তৃক মানুষের সৃষ্টিদিন থেকে শুরু করে তোমার আগে যে কাল গেছে, সেই পুরানো কাল এবং আসমানের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তকে জিজ্ঞাসা কর, এই রকম মহৎ কাজের মত কাজ কি আর কখনও হয়েছে? কিংবা এমন কি শোনা গেছে?
33. তোমার মত কি আর কোন জাতি আগুনের মধ্য থেকে যাঁর বাণী নিঃসৃত হত সেই আল্লাহ্র বাণী শুনে বেঁচে আছে?
34. কিংবা তোমাদের আল্লাহ্ মাবুদ মিসরে তোমাদের সাক্ষাতে যেসব কাজ করেছেন, আল্লাহ্ কি সেই অনুসারে গিয়ে পরীক্ষাসিদ্ধ প্রমাণ, চিহ্ন, অদ্ভুত লক্ষণ, যুদ্ধ, শক্তিশালী হাত, বাড়িয়ে দেওয়া বাহু ও ভয়ঙ্কর মহৎ মহৎ কাজ দ্বারা অন্য জাতির মধ্য থেকে নিজের জন্য এক জাতি গ্রহণ করতে চেষ্টা করেছেন?
35. মাবুদই আল্লাহ্, তিনি ছাড়া আর কেউ নেই, তা যেন তুমি জানতে পার, সেজন্য ঐ সমস্ত তোমাকেই দেখানো হল।
36. উপদেশ দেবার জন্য তিনি বেহেশত থেকে তোমাকে তাঁর বাণী শোনালেন ও দুনিয়াতে তোমাকে তাঁর মহা আগুন দেখালেন এবং তুমি আগুনের মধ্য থেকে তাঁর কথা শুনতে পেলে।
37. তিনি তোমার পূর্বপুরুষদেরকে মহব্বত করতেন, তাই তাঁদের পরে তাঁদের বংশকেও মনোনীত করলেন এবং তাঁর উপস্থিতি ও মহাপরাক্রম দ্বারা তোমাকে মিসর দেশ থেকে বের করে আনলেন;
38. যেন তোমার চেয়ে মহান ও বিক্রমী জাতিদেরকে তোমার সম্মুখ থেকে দূর করে তাদের দেশে তোমাকে প্রবেশ করান ও অধিকার হিসেবে তোমাকে সেই দেশ দেন, যেমন আজ দেখছো।
39. অতএব আজ জেনে রাখ ও অন্তরে গেঁথে রাখ যে, উপরিস্থ বেহেশত ও নিচস্থ দুনিয়াতে মাবুদই আল্লাহ্, আর তিনি ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নেই।