21. আর তোমাদের জন্য মাবুদ আমার প্রতিও ক্রুদ্ধ হয়ে এই কসম খেয়েছেন যে, তিনি আমাকে জর্ডান পার হতে দেবেন না এবং তোমাদের আল্লাহ্ মাবুদ তোমাদের যে দেশ অধিকার হিসেবে দিচ্ছেন, সেই উত্তম দেশে আমাকে প্রবেশ করতে দেবেন না।
22. বাস্তবিক এই দেশেই আমাকে ইন্তেকাল করতে হবে; আমি জর্ডান পার হয়ে যেতে পারব না; কিন্তু তোমরা পার হয়ে সেই উত্তম দেশ অধিকার করবে।
23. তোমরা নিজেদের বিষয়ে সাবধান থেকো, তোমাদের আল্লাহ্ মাবুদ তোমাদের জন্য যে নিয়ম স্থির করেছেন, তা ভুলে যেও না, কোন বস্তুর মূর্তিবিশিষ্ট খোদাই-করা মূর্তি তৈরি করো না; তা তোমার আল্লাহ্ মাবুদের নিষিদ্ধ।
24. কেননা তোমার আল্লাহ্ মাবুদ গ্রাসকারী আগুনের মত; তিনি স্বগৌরব রক্ষণে উদ্যোগী আল্লাহ্।
25. সেই দেশে পুত্র পৌত্রদের জন্ম দিয়ে বহুকাল বাস করলে পর যদি তোমরা ভ্রষ্ট হও ও কোন বস্তুর মূর্তি বিশিষ্ট খোদাই-করা মূর্তি তৈরি কর এবং তোমার আল্লাহ্ মাবুদের দৃষ্টিতে যা মন্দ, তা করে তাঁকে অসন্তুষ্ট কর;
26. তবে, আমি আজ তোমাদের বিরুদ্ধে বেহেশত ও দুনিয়াকে সাক্ষী মেনে বলছি, তোমরা যে দেশ অধিকার করতে জর্ডান পার হয়ে যাচ্ছ, সেই দেশ থেকে শীঘ্র বিনষ্ট হবে, সেখানে বহুকাল বাস করতে পারবে না, কিন্তু সম্পূর্ণরূপে উচ্ছিন্ন হবে।
27. আর মাবুদ নানা জাতির মধ্যে তোমাদের ছিন্ন ভিন্ন করবেন; যেখানে মাবুদ তোমাদের নিয়ে যাবেন, সেই জাতিদের মধ্যে তোমরা অল্পসংখ্যক হয়ে অবশিষ্ট থাকবে।
28. আর তোমরা সেখানে মানুষের হাতের তৈরি দেবতাদের— যারা দেখতে, শুনতে, ভোজন করতে ও ঘ্রাণ নিতে পারে না এমন কাঠ ও পাথরের তৈরি— তাদের সেবা করবে।
29. কিন্তু সেখানে থেকে যদি তোমরা তোমাদের আল্লাহ্ মাবুদের খোঁজ কর, তবে তাঁর উদ্দেশ পাবে; সমস্ত অন্তর ও সমস্ত প্রাণের সঙ্গে তাঁর খোঁজ করলে পাবে।
30. যখন তোমার সঙ্কট উপস্থিত হয় এবং এসব তোমার প্রতি ঘটে, তখন সেই ভাবী কালে তুমি তোমার আল্লাহ্ মাবুদের প্রতি ফিরবে ও তাঁর বাধ্য হয়ে চলবে।
31. কারণ তোমার আল্লাহ্ মাবুদ কৃপাময় আল্লাহ্; তিনি তোমাকে ত্যাগ করবেন না, তোমাকে বিনাশ করবেন না এবং কসম দ্বারা তোমার পূর্বপুরুষদের কাছে যে নিয়ম করেছেন তা ভুলে যাবেন না।
32. কারণ, দুনিয়াতে আল্লাহ্ কর্তৃক মানুষের সৃষ্টিদিন থেকে শুরু করে তোমার আগে যে কাল গেছে, সেই পুরানো কাল এবং আসমানের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তকে জিজ্ঞাসা কর, এই রকম মহৎ কাজের মত কাজ কি আর কখনও হয়েছে? কিংবা এমন কি শোনা গেছে?
33. তোমার মত কি আর কোন জাতি আগুনের মধ্য থেকে যাঁর বাণী নিঃসৃত হত সেই আল্লাহ্র বাণী শুনে বেঁচে আছে?
34. কিংবা তোমাদের আল্লাহ্ মাবুদ মিসরে তোমাদের সাক্ষাতে যেসব কাজ করেছেন, আল্লাহ্ কি সেই অনুসারে গিয়ে পরীক্ষাসিদ্ধ প্রমাণ, চিহ্ন, অদ্ভুত লক্ষণ, যুদ্ধ, শক্তিশালী হাত, বাড়িয়ে দেওয়া বাহু ও ভয়ঙ্কর মহৎ মহৎ কাজ দ্বারা অন্য জাতির মধ্য থেকে নিজের জন্য এক জাতি গ্রহণ করতে চেষ্টা করেছেন?
35. মাবুদই আল্লাহ্, তিনি ছাড়া আর কেউ নেই, তা যেন তুমি জানতে পার, সেজন্য ঐ সমস্ত তোমাকেই দেখানো হল।
36. উপদেশ দেবার জন্য তিনি বেহেশত থেকে তোমাকে তাঁর বাণী শোনালেন ও দুনিয়াতে তোমাকে তাঁর মহা আগুন দেখালেন এবং তুমি আগুনের মধ্য থেকে তাঁর কথা শুনতে পেলে।