16. দুনিয়ার উত্তম উত্তম দ্রব্য ও তৎপূর্ণতাদ্বারা;আর যিনি ঝোপবাসী, তাঁর সন্তোষ হোক;সেই দোয়া অর্পিত হোক ইউসুফেরমাথায়;ভাইদের মধ্যে যে মহৎ তারই মাথারতালুতে।
17. তার প্রথমজাত ষাঁড়ের শোভাযুক্ত,তার শিংগুলো বন্য ষাঁড়ের শিং;তা দ্বারা সে দুনিয়ার প্রান্ত পর্যন্ত সমস্তজাতিকে গুঁতাবে;সেই শিংগুলো হল আফরাহীমের অযুতঅযুত লোক,মানশার হাজার হাজার লোক।
18. আর সবূলূনের বিষয়ে তিনি বললেন,সবূলূন! তুমি তোমার যাত্রাতে আনন্দকর,ইষাখর! তুমি তোমার তাঁবুতে আনন্দকর।
19. এরা গোষ্ঠীগুলোকে পর্বতে আহ্বানকরবে;সেই স্থানে ধার্মিকতার কোরবানী করবে,কেননা এরা সমুদ্রের বহুল দ্রব্য,এবং বালুকণার সমস্ত গুপ্ত ধন শোষণকরবে।
20. আর গাদের বিষয়ে তিনি বললেন,গাদের বিস্তার দোয়াযুক্ত হোক;সে সিংহীর মত বসতি করে,
21. সে নিজের জন্য অগ্রিমাংশ নিরীক্ষণকরলো;কারণ সেখানে অধিপতির অধিকার রক্ষিতহল;আর সে লোকদের নেতৃবর্গের সঙ্গেআসলো;মাবুদের ধার্মিকতা সিদ্ধ করলো,ইসরাইল সম্বন্ধে তাঁর অনুশাসন সিদ্ধকরলো।
22. আর দানের বিষয়ে তিনি বললেন,দান সিংহের বাচ্চা, যে বাশন থেকে লাফদেয়।
23. আর নপ্তালির বিষয়ে তিনি বললেন,নপ্তালি! তুমি তাঁর সন্তোষে তৃপ্ত,আর মাবুদের দোয়ায় পরিপূর্ণ;তুমি সমুদ্র ও দক্ষিণ অধিকার কর।
24. আর আশেরের বিষয়ে তিনি বললেন,পুত্রদের দ্বারা আশের দোয়াযুক্ত হোক,সে তার ভাইদের কাছে অনুগ্রহের পাত্রহোক,তার পা তেলে ডুবে থাকুক।
25. তোমার অর্গল লোহা ও ব্রোঞ্জের হবে,তোমার যেমন দিন, তেমনি শক্তি হবে।
26. হে যিশুরূণ, আল্লাহ্র মত আর কেউনেই;তিনি তোমার সাহায্যের জন্য আকাশরথে,নিজের গৌরবে আসমান-পথে যাতায়াতকরেন।
27. অনাদি আল্লাহ্ তোমার বাসস্থান,নিম্নে তাঁর অনন্তস্থায়ী বাহুযুগল;তিনি তোমার সম্মুখ থেকে দুশমনকে দূরকরলেন,আর বললেন, বিনাশ কর।
28. তাই ইসরাইল নির্ভয়ে বাস করে,ইয়াকুবের উৎস একাকী থাকে,শস্য ও আঙ্গুর-রসের দেশে বাস করে;আর তার আসমান হতেও শিশির ঝরেপড়ে।
29. হে ইসরাইল! সুখী তুমি, তোমার মত কেআছে?তুমি মাবুদ কর্তৃক উদ্ধার পাওয়া জাতি,তিনি তোমার সাহায্যের ঢাল,তোমার ঔৎকর্ষের তলোয়ার।তোমার দুশমনেরা তোমার কর্তৃত্ব স্বীকারকরবে,আর তুমিই তাদের সমস্ত উচ্চস্থলী দলনকরবে।