39. এখন দেখ, আমি, আমিই তিনি;আমি ছাড়া আর কোন আল্লাহ্ নেই;আমি হত্যা করি, আমিই সজীব করি;আমি আঘাত করেছি, আমিই সুস্থ করি;আমার হাত থেকে উদ্ধারকারী কেউইনেই।
40. কেননা আমি আসমানের দিকে হাতউঠাই,আর বলি, আমি অনন্তজীবী,
41. আমি যদি আমার তলোয়ার বজ্রে শাণদিই,যদি বিচারসাধনে হস্তক্ষেপ করি,তবে আমার বিপক্ষদের প্রতিশোধ নেব,আমার বিদ্বেষীদেরকে প্রতিফল দেব।
42. আমি নিজের সমস্ত তীর মাতাল করবোরক্তপানে,নিহত ও বন্দী লোকদের রক্তপানে;আমার তলোয়ার গোশ্ত খাবে,শত্রু-সেনাদের মাথা খাবে।
43. হে সমস্ত জাতি, তাঁর লোকদের সঙ্গেআনন্দ-চিৎকার কর;কেননা তিনি তাঁর গোলামদের রক্তেরপ্রতিফল দেবেন,তাঁর বিপক্ষদের প্রতিশোধ নেবেন, তাঁরদেশের জন্য,তাঁর লোকদের জন্য কাফ্ফারা দেবেন।
44. আর মূসা ও নূনের পুত্র ইউসা এসে লোকদের কর্ণগোচরে এই গজলের সমস্ত কথা বললেন।
45. মূসা সমস্ত ইসরাইলের কাছে এসব কথা বল সমাপ্ত করলেন;
46. আর তাদেরকে বললেন, আমি আজ তোমাদের কাছে সাক্ষ্যরূপে যা যা বললাম, তোমরা সেসব কথায় মনোযোগ দাও, আর তোমাদের সন্তানরা যেন এই শরীয়তের সমস্ত কথা পালন করতে যত্নবান হয়, এজন্য তাদেরকে তা হুকুম করতে হবে।
47. বস্তুত এটি তোমাদের পক্ষে নিরর্থক কালাম নয়, কেননা এটিই তোমাদের জীবন এবং তোমরা যে দেশ অধিকার করতে জর্ডান পার হয়ে যাচ্ছ, সেই দেশে এই কালাম দ্বারা দীর্ঘায়ু হবে।
48. সেই দিনে মাবুদ মূসাকে বললেন, তুমি এই অবারীম পর্বতে,
49. অর্থাৎ জেরিকোর সম্মুখে অবস্থিত মোয়াব দেশস্থ নবো পর্বতে উঠ এবং আমি অধিকার হিসেবে বনি-ইসরাইলকে যে দেশ দিচ্ছি সেই কেনান দেশ দর্শন কর।