13. তিনি দুনিয়ার উচ্চস্থলীগুলোর উপর দিয়েতাকে আরোহণ করালেন,সে ক্ষেতের শস্য ভোজন করলো;তিনি তাকে পাষাণ থেকে মধু পানকরালেন,চক্মকি প্রস্তরময় শৈল থেকে তেলদিলেন;
14. তিনি গরুর দুধের মাখন, ভেড়ীর দুধ,ভেড়ার বাচ্চার চর্বি সহ,বাশন দেশজাত ভেড়া ও ছাগল এবংউত্তম গমের সার তাকে দিলেন;তুমি আঙ্গুরের নির্যাস আঙ্গুর-রস পানকরলে।
15. কিন্তু যিশুরূণ হৃষ্টপুষ্ট হয়ে পদাঘাতকরলো।তুমি হৃষ্টপুষ্ট, স্থূল ও তৃপ্ত হলে;অমনি সে তার নির্মাতা আল্লাহ্কে ত্যাগকরলো,তার উদ্ধারের শৈলকে লঘু জ্ঞান করলো।
16. তারা বিজাতীয় দেবতাদের দ্বারা তাঁরঅন্তর্জ্বালা জন্মালো,ঘৃণার বস্তু দ্বারা তাঁকে অসন্তুষ্ট করলো।
17. তারা কোরবানী করলো ভূতদের উদ্দেশে,যারা আল্লাহ্ নয়,দেবতাদের উদ্দেশে, যাদেরকে তারাজানত না,নতুন, নবজাত দেবতাদের উদ্দেশে,যাদেরকে তোমাদের পিতৃগণ ভয়করতো না।
18. তুমি তোমার জন্মদাতা শৈলের প্রতিউদাসীন,তোমার জনক আল্লাহ্কে ভুলে গেলে।
19. মাবুদ দেখলেন, ঘৃণা করলেননিজের পুত্রকন্যাদের কৃত অসন্তোষজনককাজের জন্য।
20. তিনি বললেন, আমি ওদের থেকে আমারমুখ আচ্ছাদন করবো;ওদের শেষদশা কি হবে, দেখবো;কেননা ওরা বিপরীতাচারী বংশ,ওরা অবিশ্বস্ত সন্তান।
21. যারা আল্লাহ্ নয় এমন দেবতার দ্বারা ওরাআমার অন্তর্জ্বালা জন্মালো,নিজ নিজ অসার বস্তু দ্বারা আমাকেঅসন্তুষ্ট করলো;আমিও ন-জাতি দ্বারা ওদের অন্তর্জ্বালাজন্মাবো,মূঢ় জাতি দ্বারা ওদেরকে অসন্তুষ্ট করবো।
22. কেননা আমার ক্রোধে আগুন প্রজ্বলিতহল,তা নিচস্থ পাতাল পর্যন্ত দগ্ধ করে,দুনিয়া ও তাতে উৎপন্ন বস্তু গ্রাস করে,পর্বতগুলোর মূলে আগুন লাগায়।
23. আমি তাদের উপরে অমঙ্গল রাশিকরবো,তাদের প্রতি আমার সমস্ত তীর ছুড়বো।
24. তারা ক্ষুধায় ক্ষীণ হবে,জ্বলন্ত অঙ্গারে ও উগ্র সংহারে আক্রান্তহবে;আমি তাদের কাছে জন্তুদের দাঁতপাঠাবো,ধূলির উপরে বুকে ভর করে চলা সাপেরবিষ সহকারে।
25. বাইরে তলোয়ার, গৃহমধ্যে মহাভয় বিনাশকরবে;যুবক ও কুমারীকে, দুগ্ধপোষ্য শিশু ওশুক্লকেশ বৃদ্ধকে মারবে।
26. আমি বললাম, তাদেরকে উড়িয়ে দেব,মানবজাতি মধ্য থেকে তাদের স্মৃতি মুছেফেলবো।
27. কিন্তু ভয় করি, পাছে দুশমন বিরক্ত করে,পাছে তাদের দুশমনদের বিপরীত বিচারকরে,পাছে তারা বলে, আমাদেরই হাত উন্নত,এসব কাজ মাবুদ করেন নি।
28. কেননা ওরা যুক্তিবিহীন জাতি,ওদের মধ্যে বিবেচনা নেই।
29. আহা, কেন তারা জ্ঞানবান হয়ে এই কথাবোঝে না?কেন নিজেদের শেষ দশা বিবেচনা করেনা?