39. তুমি আঙ্গুরক্ষেত প্রস্তুত করে তা রোপন করবে, কিন্তু আঙ্গুর-রস পান করতে কি আঙ্গুর ফল চয়ন করতে পাবে না; কেননা কীটে তা খেয়ে ফেলবে।
40. তোমার সমস্ত অঞ্চলে জলপাই গাছ হবে, কিন্তু তুমি তেল মাখাতে পারবে না; কেননা তোমার জলপাই গাছের ফল ঝরে পড়বে।
41. তুমি পুত্রকন্যাদের জন্ম দেবে, কিন্তু তারা তোমার হবে না; কেননা তারা বন্দী হয়ে যাবে।
42. পঙ্গপাল তোমার সমস্ত গাছ ও ভূমির ফল অধিকার করবে।
43. তোমার মধ্যবর্তী বিদেশী তোমা থেকে উত্তরোত্তর উন্নত হবে ও তুমি উত্তরোত্তর অবনত হবে।
44. সে তোমাকে ঋণ দেবে, কিন্তু তুমি তাকে ঋণ দেবে না; সে মস্তকস্বরূপ হবে ও তুমি হবে পুচ্ছস্বরূপ।
45. এসব বদদোয়া তোমার উপরে আসবে, তোমার পেছনে পেছনে তাড়া করে তোমার বিনাশ পর্যন্ত তোমাকে ধরে ফেলবে; কেননা তোমার আল্লাহ্ মাবুদ তোমাকে যেসব হুকুম ও নির্দেশ দিয়েছেন, তুমি সেসব পালন করার জন্য তাঁর নির্দেশে কান দিলে না।
46. এসব তোমার ও যুগে যুগে তোমার বংশের উপরে চিহ্ন ও অদ্ভুত লক্ষণ-স্বরূপ থাকবে।
47. যেহেতু সমস্ত রকম সম্পত্তি পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকবার পরও তুমি আনন্দ-পূর্বক প্রফুল্লচিত্তে তোমার আল্লাহ্ মাবুদের গোলামী করতে না;
48. এজন্য মাবুদ তোমার বিরুদ্ধে যে দুশমনদেরকে পাঠাবেন, তুমি ক্ষুধায়, তৃষ্ণায়, উলঙ্গতায় ও সকল বিষয়ের অভাব ভোগ করতে করতে তাদের গোলামী করবে; এবং যে পর্যন্ত তিনি তোমার বিনাশ না করেন, সেই পর্যন্ত তোমার ঘাড়ে লোহার জোয়াল দিয়ে রাখবেন।
49. মাবুদ তোমার বিরুদ্ধে অনেক দূর থেকে, দুনিয়ার প্রান্ত থেকে এক জাতিকে আনবেন; যেমন ঈগল পাখি উড়ে আসে, সে সেভাবে উড়ে আসবে; সেই জাতির ভাষা তুমি বুঝতে পারবে না।
50. সেই জাতি ভয়ঙ্কর চেহারার, সে বৃদ্ধের মুখাপেক্ষা করবে না ও বালকের প্রতি কৃপা করবে না।
51. আর যে পর্যন্ত তোমার বিনাশ না হবে, সেই পর্যন্ত সে তোমার পশুর ও ভূমির ফল ভোজন করবে; যে পর্যন্ত সে তোমার বিনাশ সাধন না করবে, সেই পর্যন্ত তোমার জন্য শস্য, আঙ্গুর-রস কিংবা তেল, তোমার গরুর বাচ্চা কিংবা তোমার ভেড়ীর বাচ্চা অবশিষ্ট রাখবে না।