9. তবে তুমি সেই তিনটি নগর ছাড়া আরও তিনটি নগর নির্ধারণ করবে;
10. যেন তোমার আল্লাহ্ মাবুদ অধিকার হিসেবে তোমাকে যে দেশ দিচ্ছেন, তোমার সেই দেশের মধ্যে নির্দোষের রক্তপাত না হয়, আর তোমার উপরে রক্তপাতের অপরাধ না বর্তায়।
11. কিন্তু যদি কেউ তার প্রতিবেশীকে হিংসা করে তার জন্য ঘাঁটি বসায় ও তার প্রতিকূলে উঠে তাকে সাংঘাতিক আঘাত করে, আর তাতে তার মৃত্যু হয়, পরে ঐ ব্যক্তি যদি ঐ সমস্ত নগরের মধ্যে কোন একটি নগরে পালিয়ে যায়;
12. তবে তার নিবাস-নগরের বয়োজ্যেষ্ঠ লোক পাঠিয়ে সেখান থেকে তাকে আনাবে ও তাকে হত্যা করার জন্য রক্তের প্রতিশোধদাতার হাতে তুলে দেবে।
13. তোমার চোখ তার প্রতি রহম না করুক, কিন্তু তুমি ইসরাইলের মধ্য থেকে নিরপরাধের রক্তপাতের দোষ দূর করবে; তাতে তোমার মঙ্গল হবে।
14. তোমার আল্লাহ্ মাবুদ অধিকার হিসেবে যে দেশ তোমাকে দিচ্ছেন, সেই দেশে তোমার প্রাপ্য ভূমিতে আগেকার দিনের লোকেরা যে সীমার চিহ্ন নির্ধারণ করেছে, তোমার প্রতিবেশীর সেই চিহ্ন স্থানান্তর করবে না।
15. যদি কারও বিরুদ্ধে কোন রকম অপরাধ বা গুনাহ্ করার নালিশ আনা হয় তার বিরুদ্ধে একমাত্র সাক্ষী সাক্ষ্য দিলে চলবে না; দুই কিংবা তিন সাক্ষীর প্রমাণ দ্বারা বিচার নিষ্পন্ন হবে।
16. কোন অসৎ সাক্ষী যদি কারো বিরুদ্ধে উঠে তার বিষয়ে অন্যায় কাজের সাক্ষ্য দেয়,
17. তবে সেই বাদী প্রতিবাদী উভয়ে মাবুদের সম্মুখে, তৎকালীন ইমাম ও বিচারকর্তাদের সম্মুখে দাঁড়াবে।
18. পরে বিচারকর্তারা সযত্নে অনুসন্ধান করবে, আর দেখ, সে সাক্ষী যদি মিথ্যাসাক্ষী হয় ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যাসাক্ষ্য দিয়ে থাকে;
19. তবে সে তার ভাইয়ের প্রতি যেরকম করতে কল্পনা করেছিল, তার প্রতি তোমরা তা-ই করবে; এভাবে তুমি তোমার মধ্য থেকে দুষ্টাচার লোপ করবে।
20. তা শুনে অবশিষ্ট লোকেরা ভয় পেয়ে তোমার মধ্যে এই রকম দুষ্কর্ম আর করবে না।
21. তোমরা তার প্রতি কোন রহম করবে না; মনে রেখো, প্রাণের পরিশোধ প্রাণ, চোখের পরিশোধ চোখ, দাঁতের পরিশোধ দাঁত, হাতের পরিশোধ হাত, পায়ের পরিশোধ পা।