20. তোমার আল্লাহ্ মাবুদ যেমন অঙ্গীকার করেছেন, সেই অনুসারে যখন তোমার সীমা বিস্তার করবেন এবং গোশ্ত ভোজনে তোমার প্রাণের অভিলাষ হলে তুমি বলবে গোশ্ত ভোজন করবো, তখন তুমি প্রাণের অভিলাষ অনুসারে গোশ্ত ভোজন করবে।
21. আর তোমার আল্লাহ্ মাবুদ তাঁর নাম স্থাপনের জন্য যে স্থান মনোনীত করবেন, তা যদি তোমা থেকে বহু দূর হয়, তবে আমি যেমন বলেছি, সেই অনুসারে তুমি মাবুদের দেওয়া গোমেষাদি পাল থেকে পশু নিয়ে জবেহ্ করবে ও তোমার প্রাণের অভিলাষ অনুসারে নগর-দ্বারের ভিতরে ভোজন করতে পারবে।
22. যেমন কৃষ্ণসার ও হরিণ ভোজন করা যায়, তেমনি তা ভোজন করবে; নাপাক বা পাক-সাফ সকল লোকেই তা ভোজন করবে।
23. কেবল রক্ত পান করা থেকে অতি সাবধান থেকো, কেননা রক্তই প্রাণ; তুমি মাংসের সঙ্গে প্রাণ ভোজন করবে না।
24. তুমি তা ভোজন করবে না, পানির মত ভূমিতে ঢেলে দেবে।
25. তুমি তা ভোজন করবে না, যেন মাবুদের দৃষ্টিতে যা ন্যায্য, তা করলে তোমার মঙ্গল ও তোমার ভাবী সন্তানদের মঙ্গল হয়।
26. কেবল তোমার যত পবিত্র বস্তু এবং তোমার যত মানতের বস্তু থাকে, সেসব নিয়ে মাবুদের মনোনীত স্থানে যাবে;
27. আর তোমার আল্লাহ্ মাবুদের কোরবানগাহ্র উপরে তোমার পোড়ানো-কোরবানী, গোশ্ত ও রক্ত কোরবানী করবে, আর তোমার কোরবানীগুলোর রক্ত তোমার আল্লাহ্ মাবুদের কোরবানগাহ্র উপরে ঢালা যাবে, পরে তার গোশ্ত ভোজন করতে পারবে।
28. সাবধান হয়ে আমার হুকুম করা এসব কালাম মান্য করো, যেন তোমার আল্লাহ্ মাবুদের গোচরে যা উত্তম ও ন্যায্য, তা করলে তোমার ও যুগানুক্রমে তোমার ভাবী সন্তানদের মঙ্গল হয়।
29. তুমি যে জাতিদেরকে অধিকারচ্যুত করতে যাচ্ছ, তাদেরকে যখন তোমার আল্লাহ্ মাবুদ তোমার সম্মুখ থেকে উচ্ছিন্ন করবেন ও তুমি তাদেরকে অধিকারচ্যুত করে তাদের দেশে বাস করবে;
30. তখন সাবধান থেকো, পাছে তোমার সম্মুখ থেকে তাদের বিনাশ হলে তুমি তাদের অনুগামী হয়ে ফাঁদে পড় এবং পাছে তাদের দেবতাদের খোঁজ করে বল, এই জাতিরা নিজ নিজ দেবতাদের সেবা কিভাবে করে? আমিও তা-ই করবো।
31. তুমি তোমার আল্লাহ্ মাবুদের প্রতি সেরকম করবে না; কেননা তারা নিজ নিজ দেবতাদের উদ্দেশে মাবুদের ঘৃণিত যাবতীয় কুকাজ করে এসেছে। এমন কি, তারা সেই দেবতাদের উদ্দেশে নিজ নিজ পুত্রকন্যাদেরকেও আগুনে পোড়ায়।
32. আমি যে কোন বিষয় তোমাদেরকে হুকুম করি, তোমরা তা-ই যত্নপূর্বক পালন করবে; তুমি তাতে আর কিছু যোগ করবে না এবং তা থেকে কিছু বাদ দেবে না।