18. অতএব তোমরা আমার এসব কালাম নিজ নিজ অন্তরে ও প্রাণে রেখো এবং চিহ্নরূপে নিজ নিজ হাতে বেঁধে রেখো এবং সেসব ভূষণরূপে তোমাদের দুই চোখের মধ্যে থাকবে।
19. আর তোমরা বাড়িতে উপবেশন ও পথে গমনকালে এবং শয়ন করার সময়ে ও বিছানা থেকে উঠবার সময়ে ঐ সমস্ত কথার প্রসঙ্গ করে নিজ নিজ সন্তানদেরকে শিক্ষা দিও।
20. আর তুমি তোমার বাড়ির দরজার চৌকাঠে ও তোমার দ্বারে তা লিখে রেখো।
21. তাতে মাবুদ তোমাদের পূর্বপুরুষদেরকে যে ভূমি দিতে কসম খেয়েছেন, সেই ভূমিতে তোমাদের আয়ু ও তোমাদের সন্তানদের আয়ু দুনিয়ার উপরে আসমানের আয়ুর মত বৃদ্ধি পাবে।
22. এই যে সমস্ত হুকুম আমি তোমাদেরকে দিচ্ছি, তোমরা যদি যত্নপূর্বক তা পালন করে তোমাদের আল্লাহ্ মাবুদকে মহব্বত কর, তাঁর পথগুলোতে চল ও তাঁতে আসক্ত থাক;
23. তবে মাবুদ তোমাদের সম্মুখ থেকে এসব জাতিকে অধিকারচ্যুত করবেন এবং তোমরা তোমাদের চেয়ে বড় ও বলবান জাতিদের উত্তরাধিকারী হবে।
24. তোমাদের পা যেসব স্থানে পড়বে, সে সমস্ত স্থান তোমাদের হবে; মরুভূমি ও লেবানন থেকে, নদী অর্থাৎ ফোরাত নদী থেকে পশ্চিম সমুদ্র পর্যন্ত তোমাদের সীমা হবে।
25. তোমাদের সম্মুখে কেউই দাঁড়াতে পারবে না; তোমরা যে দেশে পা রাখবে, সেই দেশের সর্বত্র তোমাদের আল্লাহ্ মাবুদ তাঁর কালাম অনুসারে তোমাদের থেকে লোকদের ভয় ও ত্রাস উপস্থিত করবেন।
26. দেখ, আজ আমি তোমাদের সম্মুখে দোয়া ও বদদোয়া রাখলাম।
27. আজ আমি তোমাদেরকে যেসব হুকুম দিলাম, তোমাদের আল্লাহ্ মাবুদের সেসব হুকুমে যদি মান্য কর, তবে দোয়া পাবে।
28. আর যদি তোমাদের আল্লাহ্ মাবুদের হুকুম মান্য না কর এবং আমি আজ তোমাদেরকে যে পথের বিষয়ে হুকুম করলাম, যদি সেই পথ ছেড়ে তোমাদের অজ্ঞাত অন্য দেবতাদের পিছনে গমন কর, তবে বদদোয়াগ্রস্ত হবে।
29. আর তুমি যে দেশ অধিকার করতে যাচ্ছ, সেই দেশে তোমার আল্লাহ্ মাবুদ যখন তোমাকে প্রবেশ করাবেন, তখন তুমি গরিষীম পর্বতে ঐ দোয়া এবং এবল পর্বতে ঐ বদদোয়া স্থাপন করবে।