34. আর মাবুদ তোমাদের কথাবার্তা শুনে ক্রুদ্ধ হলেন ও এই শপথ করলেন,
35. আমি তোমাদের পূর্বপুরুষদেরকে যে দেশ দিতে শপথ করেছি, এই দুষ্ট বংশীয় লোকদের মধ্যে কেউই সেই উত্তম দেশ দেখতে পাবে না।
36. কেবল যিফন্নির পুত্র কালুত তা দেখবে এবং সে যে ভূমিতে পদার্পণ করে এসেছে, সেই ভূমি আমি তাকে ও তার সন্তানদেরকে দেব; কেননা সে সমপূর্ণভাবে মাবুদের নির্দেশ পালন করেছে।
37. (মাবুদ তোমাদের জন্য আমার প্রতিও ক্রুদ্ধ হলেন, তিনি আমাকে এই কথা বললেন, তুমিও সেই স্থানে প্রবেশ করবে না।
38. তোমার সম্মুখে দণ্ডায়মান নূনের পুত্র ইউসা সেই দেশে প্রবেশ করবে; তুমি তাকেই উৎসাহ দাও, কেননা সে ইসরাইলকে তা অধিকার করাবে।)
39. আর এরা লুণ্ঠিত হবে, এই কথা তোমরা তোমাদের যে বালকদের বিষয়ে বললে এবং তোমাদের যে সন্তানদের ভাল-মন্দ জ্ঞান এখনও হয় নি, তারাই সেই স্থানে প্রবেশ করবে; তাদেরকেই আমি সেই দেশ দেব এবং তারাই তা অধিকার করবে।
40. কিন্তু তোমরা ফির, লোহিত সাগরের পথ দিয়ে মরুভূমিতে গমন কর।
41. তখন তোমরা জবাবে আমাকে বললে, আমরা মাবুদের বিরুদ্ধে গুনাহ্ করেছি; আমরা আমাদের আল্লাহ্ মাবুদের সমস্ত হুকুম অনুসারে উঠে গিয়ে যুদ্ধ করবো। পরে তোমরা প্রত্যেক জন যুদ্ধাস্ত্রে সজ্জিত হলে এবং পর্বতে উঠে যাওয়া লঘু বিষয় মনে করলে।
42. তখন মাবুদ আমাকে বললেন, তুমি তাদেরকে বল, তোমরা উঠে যেও না, যুদ্ধ করো না, কেননা আমি তোমাদের মধ্যবর্তী থাকব না; গেলে দুশমনদের সম্মুখে আহত হবে।
43. আমি তোমাদেরকে সেই কথা বললাম, কিন্তু তোমরা সেই কথায় কান দিলে না; বরং মাবুদের হুকুমের বিরুদ্ধে গিয়ে ও দুঃসাহসী হয়ে পর্বতে উঠলে।
44. আর সেই পর্বতবাসী ইমোরীয়েরা তোমাদের বিরুদ্ধে বের হয়ে, মৌমাছি যেমন করে, তেমনি তোমাদেরকে তাড়া করলো এবং সেয়ীরে হর্মা পর্যন্ত আঘাত করলো।