27. দানিয়াল বাদশাহ্র সাক্ষাতে জবাবে বললেন, বাদশাহ্ যে নিগূঢ় কথা জিজ্ঞাসা করেছেন, তা বিদ্বান বা গণক বা মন্ত্রবেত্তা বা জ্যোতির্বেত্তারা বাদশাহ্কে জানাতে পারে না;
28. কিন্তু আল্লাহ্ বেহেশতে আছেন, তিনি নিগূঢ় বিষয় প্রকাশ করেন, আর ভবিষ্যতে যা যা ঘটবে, তা তিনি বাদশাহ্ বখতে-নাসারকে জানিয়েছেন। আপনার স্বপ্ন এবং বিছানার উপরে আপনার মনের দর্শন এই।
29. হে বাদশাহ্, বিছানায় আপনার মনে এই চিন্তা উৎপন্ন হয়েছিল যে, এর পরে কি হবে; আর যিনি নিগূঢ় বিষয় প্রকাশ করেন, তিনি আপনাকে ভাবী ঘটনা জানিয়েছেন।
30. কিন্তু আমার নিজের সম্বন্ধে বক্তব্য এই যে, অন্য কোন জীবিত লোকের চেয়ে আমার বেশি জ্ঞান আছে বলে যে আমার কাছে এই নিগূঢ় বিষয় প্রকাশিত হল তা নয়, কিন্তু অভিপ্রায় এই, যেন বাদশাহ্কে এর তাৎপর্য জানানো যায়, আর আপনি যেন আপনার মনের চিন্তা বুঝতে পারেন।
31. হে বাদশাহ্, আপনি দৃষ্টিপাত করেছিলেন, আর দেখলেন, একটি প্রকাণ্ড মূর্তি। সেই মূর্তিটি বিশাল এবং ভীষণ উজ্জ্বল; তা আপনার সম্মুখে দাঁড়িয়ে ছিল; আর তার দৃশ্য ভয়ঙ্কর।
32. সেই মূর্তির বৃত্তান্ত এই; তার মাথাটি সোনার, তার বুক ও বাহু রূপার; তার উদর ও ঊরুদেশ ব্রোঞ্জের;
33. তার জঙ্ঘা লোহার এবং তার পা কিছু লোহার ও কিছু মাটির ছিল।
34. আপনি দৃষ্টিপাত করতে থাকলেন, শেষে মানুষের হাতে কাটা হয় নি এমন একটি পাথর সেই মূর্তির লোহা ও মাটির দুই পায়ে আঘাত করে সেগুলো চুরমার করে ফেললো।
35. তখন সেই লোহা, মাটি, ব্রোঞ্জ, রূপা ও সোনা একসঙ্গে চুরমার হয়ে গ্রীষ্মকালীন খামারের তুষের মত হল, আর বায়ু সেসব উড়িয়ে নিয়ে গেল, তাদের জন্য আর কোথাও স্থান পাওয়া গেল না। আর যে পাথরখানি ঐ মূর্তিকে আঘাত করেছিল, তা বৃদ্ধি পেয়ে মহাপর্বত হয়ে উঠলো এবং সমস্ত দুনিয়া পূর্ণ করলো।
36. এটাই ছিল সেই স্বপ্ন। এখন আমরা বাদশাহ্র সাক্ষাতে এর তাৎপর্য প্রকাশ করবো।
37. হে বাদশাহ্, আপনি বাদশাহ্দের বাদশাহ্, বেহেশতের আল্লাহ্ আপনাকে রাজ্য, ক্ষমতা, পরাক্রম ও মহিমা দিয়েছেন।
38. আর যে কোন স্থানে মানুষ বাস করে, সেই স্থানে তিনি মাঠের পশু ও আসমানের পাখিদেরকে আপনার হাতে তুলে দিয়েছেন এবং তাদের সকলের উপরে আপনাকে কর্তৃত্ব দিয়েছেন; আপনিই সেই সোনার মাথা।
39. আপনার পিছনে আপনার চেয়ে ক্ষুদ্র আর একটি রাজ্য উঠবে; তারপর ব্রোঞ্জের তৃতীয় একটি রাজ্য উঠবে, তা সমস্ত দুনিয়ার উপরে কর্তৃত্ব করবে।