19. তখন সে নিজের দেশের দুর্গগুলোর প্রতি মুখ ফিরাবে; কিন্তু হোঁচট খেয়ে পড়বে, তার উদ্দেশ আর পাওয়া যাবে না।
20. পরে এমন এক জন তার পদ পাবে, যে রাজ্যের শোভাস্থানে কর্মকর্তাকে প্রেরণ করবে, কিন্তু সে অল্প দিনের মধ্যে বিনষ্ট হবে, ক্রোধেও নয়, যুদ্ধেও নয়।
21. পরে এক জন তুচ্ছ ব্যক্তি তার পদ পাবে। তাকে রাজ্যের মহিমা দেওয়া হয় নি, কিন্তু সে নিশ্চিন্ততার সময়ে এসে চাটুবাদ দ্বারা রাজ্য লাভ করবে;
22. তার সম্মুখ থেকে বিশাল সৈন্য বাহিনী বের হয়ে সমূলে ধ্বংস হবে এবং নিয়মের নায়কও ধ্বংস হবে।
23. তার সাথে মিত্রতার চুক্তি স্থির করার দিন থেকে সে ছলনা করবে, কারণ সে এসে অল্প লোক দ্বারা পরাক্রমী হবে।
24. সে নিশ্চিন্ততার সময়ে প্রদেশের অতি উত্তম উত্তম স্থানে প্রবেশ করবে এবং তার পূর্বপুরুষেরা এবং পূর্বপুরুষদের পূর্বপুরুষেরাও যা করে নি, তা করবে; সে লোকদের মধ্যে লুটদ্রব্য, কেড়ে নেওয়া জিনিসপত্র এবং সম্পত্তি বিতরণ করবে, দৃঢ় দুর্গগুলোর বিরুদ্ধে কৌশল কল্পনা করবে, কিছু কাল এটা করবে।
25. আর সে অনেক সৈন্য সঙ্গে নিয়ে দক্ষিণ দেশের বাদশাহ্র বিরুদ্ধে তার বল ও অন্তর উত্তেজিত করবে; তাতে দক্ষিণ দেশের বাদশাহ্ এক বিশাল শক্তিশালী সৈন্য সঙ্গে নিয়ে যুদ্ধ করবে, কিন্তু স্থির থাকবে না, কেননা তারা তার বিরুদ্ধে নানা কৌশল কল্পনা করবে।
26. যারা তার খাবারের ভাগী, তারাই তাকে বিনষ্ট করবে ও তাদের সৈন্য সমূলে ধ্বংস হবে; এবং অনেকে নিহত হবে।
27. আর এই দুই বাদশাহ্র অন্তর হিংসাপূর্ণ হবে এবং তারা একই টেবিলে বসে মিথ্যা কথা বলবে, কিন্তু তা সফল হবে না, কেননা তখনও শেষ নির্ধারিত কালের অপেক্ষা করবে।
28. আর সে অনেক সম্পত্তি নিয়ে আপন দেশে ফিরে যাবে ও তার অন্তঃকরণ পবিত্র নিয়মের বিপক্ষ হবে এবং সে কাজ করে তার নিজের দেশে ফিরে যাবে।
29. নির্ধারিত কালে সে ফিরে আসবে, দক্ষিণ দেশে প্রবেশ করবে, কিন্তু পূর্বকালে, যেমন ছিল উত্তরকালে তেমন হবে না।
30. কারণ সাইপ্রাসের জাহাজগুলো তার বিরুদ্ধে আসবে, এজন্য সে বিষণ্ন হয়ে ফিরে যাবে ও পবিত্র নিয়মের বিরুদ্ধে ক্রোধ করে কাজ করবে; সে ফিরে আসবে, যারা পবিত্র নিয়ম ত্যাগ করে, তাদের প্রতি মনোযোগ দেবে।
31. আর তার কাছ থেকে সৈন্যরা উঠে, বায়তুল-মোকাদ্দস অর্থাৎ দুর্গ নাপাক করবে, নিত্য নৈবেদ্য নিবৃত্ত করবে এবং সর্বনাশা ঘৃণার বস্তু স্থাপন করবে।
32. যারা সেই নিয়ম সম্বন্ধে দুষ্কর্ম করে, সে তাদের চাটুবাদ দ্বারা ভ্রষ্ট করবে, কিন্তু যে লোকেরা তোমার আল্লাহ্কে জানে, তারা বলবান হয়ে কাজ করবে।
33. আর লোকদের মধ্যে যারা বুদ্ধিমান, তারা অনেককে উপদেশ দেবে; তবুও কিছু দিন পর্যন্ত তারা তলোয়ারের আঘাতে ও আগুনের শিখায় মারা পড়বে এবং বন্দী করা ও লুট করা হবে।
34. যখন পড়বে, তখন তারা অল্প সাহায্য পাবে, আর অনেকে চাটুবাদ দ্বারা তাদের প্রতি আসক্ত হবে।
35. আর বুদ্ধিমানদের মধ্যে কারও কারও পতন হবে, যেন তারা পরীক্ষাসিদ্ধ, খাঁটি ও নিখুঁত করা হয়; শেষ পর্যন্ত তা হবে; কেননা তখনও নির্ধারিত কালের অপেক্ষা করা যাবে।
36. আর সেই বাদশাহ্ স্বেচ্ছানুযায়ী কাজ করবে ও সমস্ত দেবতার চেয়ে নিজেকে বড় করে দেখাবে ও অহংকার করবে এবং দেবতাদের আল্লাহ্র বিপরীতে অদ্ভুত কথা বলবে, আর ক্রোধ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত সে সফল হবে; কেননা যা নির্ধারিত, তাই করা যাবে।
37. আর সে তার পূর্বপুরুষদের দেবতাদেরকে মানবে না এবং স্ত্রীলোকদের কামনাকে কিংবা কোন দেবতাকে মানবে না; কেননা সে নিজেকেই সবচেয়ে বড় করে দেখাবে।
38. কিন্তু সে স্বস্থানে দুর্গ-দেবতার সম্মান করবে এবং আপন পূর্বপুরুষদের অজ্ঞাত দেবকে সোনা, রূপা, মণি ও মনোরম্য বস্তু দিয়ে সম্মান করবে।
39. আর সে বিজাতীয় দেবতার সাহায্যে অতি দৃঢ় দুর্গগুলোর বিরুদ্ধে আক্রমণ রচনা করবে; যত লোক তাকে স্বীকার করবে, তাদেরকে সে অতি সম্মানিত করবে; তাদেরকে অনেকের উপরে কর্তৃত্বপদ দেবে ও পারিতোষিক হিসেবে ভূমি ভাগ করে দেবে।