6. তাদের মধ্যে এহুদা-বংশীয় দানিয়াল, হনানিয়, মীশায়েল ও অসরিয় ছিলেন।
7. আর রাজপ্রাসাদের প্রধান কর্মচারী তাঁদের নাম রাখলেন; তিনি দানিয়ালকে বেল্টশৎসর, হনানিয়কে শদ্রক, মীশায়েলকে মৈশক ও অসরিয়কে অবেদ্নগো নাম দিলেন।
8. কিন্তু দানিয়াল মনে স্থির করলেন যে, তিনি বাদশাহ্র খাবার ও তাঁর পানীয় আঙ্গুর-রস দ্বারা নিজেকে নাপাক করবেন না। এজন্য নিজেকে যেন নাপাক করতে না হয়, এই অনুমতি রাজপ্রাসাদের প্রধান কর্মচারীর কাছে অনুমতি চাইলেন।
9. তখন আল্লাহ্ সেই রাজপ্রাসাদের প্রধান কর্মচারীর কাছে দানিয়ালকে দয়া ও করুণার পাত্র করলেন।
10. তাতে রাজপ্রাসাদের প্রধান কর্মচারী জবাবে দানিয়ালকে বললেন, আমি আমার মালিক বাদশাহ্কে ভয় করি, তিনিই তোমাদের খাবার ও পানীয়-দ্রব্য নির্ধারণ করেছেন; তিনি তোমাদের সমবয়স্ক যুবকদের মুখের চেয়ে তোমাদের মুখ কেন শুকনো দেখবেন? এতে বাদশাহ্ আমার মাথা কেটে ফেলতে পারেন।
11. পরে রাজপ্রাসাদের প্রধান কর্মচারী দানিয়াল, হনানিয়, মীশায়েল ও অসরিয়ের উপরে যে প্রধান প্রহরীকে নিযুক্ত করেছিলেন, তাঁকে দানিয়াল বললেন,
12. আপনি মেহেরবানী করে দশ দিন আপনার গোলামদের পরীক্ষা করুন; ভোজন পান করার জন্য আমাদেরকে সব্জি ও পানি দিতে হুকুম দিন;
13. পরে নিজের সম্মুখে আমাদের চেহারা এবং রাজকীয় ভক্ষ্যভোগী যুবকদের চেহারার পরীক্ষা হোক; পরে আপনি যেমন দেখবেন, সেই অনুসারে আপনার এই গোলামদের সঙ্গে ব্যবহার করবেন।
14. তখন তিনি তাঁদের এই কথায় কান দিয়ে দশ দিন পর্যন্ত তাঁদের পরীক্ষা করলেন।
15. দশ দিন পরে দেখা গেল, রাজকীয় ভক্ষ্যভোগী সকল যুবকের চেয়ে এঁরা সুরূপ ও স্বাস্থ্যবান।
16. এজন্য প্রধান প্রহরী তাঁদের ঐ খাবার ও পানীয় আঙ্গুর-রস বাদ দিয়ে তাঁদেরকে শুধু শাক-সব্জি দিতে থাকলেন।
17. আর আল্লাহ্ সেই চার জন যুবককে সমস্ত গ্রন্থে ও বিদ্যায় জ্ঞান ও পারদর্শিতা দিলেন; আর সমস্ত দর্শন ও স্বপ্নকথায় দানিয়াল বুদ্ধিমান হলেন।
18. পরে বাদশাহ্ যে সময়ের শেষে সকলকে আনবার কথা বলে দিয়েছিলেন, সেই সময় উত্তীর্ণ হলে রাজপ্রাসাদের প্রধান কর্মচারী তাঁদেরকে বখতে-নাসারের সম্মুখে উপস্থিত করলেন।
19. তখন বাদশাহ্ তাঁদের সঙ্গে আলাপ করলেন; আর তাদের মধ্যে দানিয়াল, হনানিয়, মীশায়েল ও অসরিয়, এই কয়েকজনের সমকক্ষ কাউকেও দেখতে পাওয়া গেল না; এজন্য তাঁরা বাদশাহ্র সম্মুখে দণ্ডায়মান হলেন।