3. কেননা আগে আমরাও নির্বোধ, অবাধ্য, ভ্রান্ত, নানা রকম অভিলাষের ও সুখভোগের গোলাম, হিংসা ও বিদ্বেষে কালক্ষেপকারী, ঘৃণার ও পরস্পর দ্বেষকারী ছিলাম।
4. কিন্তু যখন আমাদের নাজাতদাতা আল্লাহ্র দয়ার স্বভাব এবং মানবজাতির প্রতি মহব্বত প্রকাশিত হল,
5. তখন তিনি আমাদের কৃত ধর্মকর্মের জন্য নয়, কিন্তু তাঁর করুণা অনুসারে, নতুন জন্মের গোসল ও পাক-রূহের নতুনীকরণ দ্বারা আমাদেরকে নাজাত করলেন,
6. সেই রূহ্কে তিনি আমাদের নাজাতদাতা ঈসা মসীহ্ দ্বারা আমাদের উপরে প্রচুররূপে ঢেলে দিলেন;
7. যেন তাঁরই অনুগ্রহে ধার্মিক গণিত হয়ে আমরা অনন্ত জীবনের প্রত্যাশা অনুসারে উত্তরাধিকারী হয়ে উঠতে পারি।
8. এই কথা বিশ্বাসযোগ্য। আর আমার বাসনা এই যে, এসব বিষয়ে তুমি দৃঢ় নিশ্চয়তার সঙ্গে কথা বল, যেন যারা আল্লাহ্র উপরে ঈমান এনেছে তারা নিজেদের সৎকর্মে ব্যস্ত রাখবার কথা চিন্তা করে। এসব বিষয় মানুষের পক্ষে উত্তম ও সুফলদায়ক।
9. কিন্তু তুমি মূঢ়তার সকল তর্ক-বিতর্ক, বংশ-তালিকা, ঝগড়া-বিবাদ এবং শরীয়ত বিষয়ক বাগ্যুদ্ধ থেকে দূরে থাক; কেননা এসব নিষ্ফল ও অসার।
10. যে ব্যক্তি দলাদলির সৃষ্টি করে তাকে দুই এক বার চেতনা দেবার পর অগ্রাহ্য কর।
11. তুমি তো জান যে, এই রকম লোকেরা পথভ্রষ্ট এবং সে গুনাহ্ করতে করতে নিজেই নিজেকে দোষী বলে সাব্যস্ত করে।
12. আমি যখন তোমার কাছে আর্তিমাকে কিংবা তুখিককে পাঠাই, তখন তুমি নীকপলিতে আমার কাছে আসতে বিশেষভাবে চেষ্টা কোরো; কেননা সেই স্থানে আমি শীতকাল যাপন করবো বলে ঠিক করেছি।
13. উকিল সীনাকে এবং আপল্লোকে যত্ন-পূর্বক পাঠিয়ে দাও, আর দেখো, তাঁদের যেন কোন বিষয়ের অভাব না হয়।
14. আর আমাদের লোকেরা সৎকর্মে নিজেদের ব্যস্ত রাখতে অভ্যাস করুক যেন তারা অন্যদের জরুরী প্রয়োজন মিটাতে পারে, যেন ফলহীন হয়ে না পড়ে।
15. আমার সঙ্গীরা সকলে তোমাকে সালাম জানাচ্ছেন। যাঁরা ঈমান সম্বন্ধে আমাদেরকে ভালবাসেন, তাঁদেরকে শুভেচ্ছা দাও।রহমত তোমাদের সকলের সহবর্তী হোক।