11. দারিয়ুসের দ্বিতীয় বছরের অষ্টম মাসে মাবুদের এই কালাম ইদ্দোর পৌত্র বেরিখিয়ের পুত্র জাকারিয়া নবীর কাছে উপস্থিত হল।
6. কিন্তু আমি আমার গোলাম নবীদেরকে যা যা হুকুম করেছিলাম, আমার সেসব কালাম ও বিধি কি তোমাদের পূর্বপুরুষদের নিকট পৌঁছায় নি? তখন তারা ফিরে এসে বললো, বাহিনীগণের মাবুদ আমাদের আচার ও কাজ অনুসারে আমাদের প্রতি যেমন ব্যবহার করতে মনস্থ করেছিলেন, আমাদের প্রতি তেমনি ব্যবহার করেছেন।
7. দারিয়ুসের দ্বিতীয় বছরের একাদশ মাসের অর্থাৎ শবাট মাসের, চব্বিশতম দিনে মাবুদের কালাম ইদ্দোর পৌত্র বেরিখিয়ের পুত্র নবী জাকারিয়ার কাছে নাজেল হল।
8. তিনি বললেন, আমি রাতের বেলায় দর্শন পেলাম, আর দেখ, লাল রংয়ের ঘোড়ায় আরোহী এক জন পুরুষ, তিনি নিম্নভূমিস্থ গুলমেদি গাছগুলোর মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং তাঁর পেছন লাল রংয়ের, মেটে ও সাদা রংয়ের কয়েকটি ঘোড়া ছিল।
9. তখন আমি বললাম, হে আমার প্রভু, এরা কে? তাতে আমার সঙ্গে আলাপকারী ফেরেশতা আমাকে বললেন, এরা কে, তা আমি তোমাকে জানাবো।
10. আর যে পুরুষ গুলমেদি গাছগুলোর মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি বললেন, মাবুদ এদেরকে দুনিয়াতে ইতস্তত ভ্রমণ করতে পাঠিয়েছেন।
11. তখন তারা জবাবে, যিনি গুলমেদি গাছগুলোর মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলেন, মাবুদের সেই ফেরেশতাকে বললো, আমরা দুনিয়াতে ইতস্তত ভ্রমণ করেছি, আর দেখ, সমস্ত দুনিয়া সুস্থির ও শান্তিপূর্ণ।
12. তখন মাবুদের ফেরেশতা বললেন, হে বাহিনীগণের মাবুদ, তুমি এই সত্তর বছর যাদের উপরে ক্রুদ্ধ হয়ে রয়েছ, সেই জেরুশালেম ও এহুদার নগরগুলোর প্রতি করুণা করতে কতকাল বিলম্ব করবে?
13. তখন যে ফেরেশতা আমার সঙ্গে আলাপ করছিলেন, মাবুদ তাঁকে জবাবে নানা মঙ্গলকথা, নানা সান্ত্বনাদায়ক কথা বললেন।
14. আর যে ফেরেশতা আমার সঙ্গে আলাপ করছিলেন, তিনি আমাকে বললেন, তুমি ঘোষণা কর, বাহিনীগণের মাবুদ এই কথা বলেন, জেরুশালেম ও সিয়োনের উপর আমি অসম্ভব ক্রুদ্ধ হয়েছি।