11. দারিয়ুসের দ্বিতীয় বছরের অষ্টম মাসে মাবুদের এই কালাম ইদ্দোর পৌত্র বেরিখিয়ের পুত্র জাকারিয়া নবীর কাছে উপস্থিত হল।
11. তখন তারা জবাবে, যিনি গুলমেদি গাছগুলোর মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলেন, মাবুদের সেই ফেরেশতাকে বললো, আমরা দুনিয়াতে ইতস্তত ভ্রমণ করেছি, আর দেখ, সমস্ত দুনিয়া সুস্থির ও শান্তিপূর্ণ।
12. তখন মাবুদের ফেরেশতা বললেন, হে বাহিনীগণের মাবুদ, তুমি এই সত্তর বছর যাদের উপরে ক্রুদ্ধ হয়ে রয়েছ, সেই জেরুশালেম ও এহুদার নগরগুলোর প্রতি করুণা করতে কতকাল বিলম্ব করবে?
13. তখন যে ফেরেশতা আমার সঙ্গে আলাপ করছিলেন, মাবুদ তাঁকে জবাবে নানা মঙ্গলকথা, নানা সান্ত্বনাদায়ক কথা বললেন।
14. আর যে ফেরেশতা আমার সঙ্গে আলাপ করছিলেন, তিনি আমাকে বললেন, তুমি ঘোষণা কর, বাহিনীগণের মাবুদ এই কথা বলেন, জেরুশালেম ও সিয়োনের উপর আমি অসম্ভব ক্রুদ্ধ হয়েছি।
15. আর নিশ্চিন্ত জাতিদের প্রতি আমার ক্রোধ জন্মেছে; কেননা আমি সামান্য ক্রুদ্ধ হলে তারা আরও বেশি অমঙ্গল যোগ করলো।
16. এজন্য মাবুদ এই কথা বলেন, আমি করুণা করে জেরুশালেমে ফিরে এলাম; তার মধ্যে আমার গৃহ নির্মিত হবে, এই কথা বাহিনীগণের মাবুদ বলেন; এবং জেরুশালেমে মাপের দড়ি ধরা হবে।
17. তুমি আরও ঘোষণা কর, বাহিনীগণের মাবুদ এই কথা বলেন, আমার নগরগুলো পুনর্বার মঙ্গলে পরিপূর্ণ হবে এবং মাবুদ সিয়োনকে পুনরায় সান্ত্বনা দেবেন ও জেরুশালেমকে পুনর্বার মনোনীত করবেন।
18. পরে আমি চোখ তুলে দেখলাম, আর দেখ, চারটি শিং।
19. তখন আমার সঙ্গে আলাপকারী ফেরেশতাকে জিজ্ঞাসা করলাম, এগুলো কি? তিনি আমাকে বললেন, এ সেই সব শিং যা এহুদা, ইসরাইল এবং জেরুশালেমকে ছিন্নভিন্ন করেছে।
20. পরে মাবুদ আমাকে চার জন কর্মকার দেখালেন।
21. আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এরা কি করতে আসছে? তিনি বললেন, ঐ শিংগুলো এহুদাকে এমন ছিন্নভিন্ন করেছে যে, কেউই মাথা তুলতে পারে নি; কিন্তু যেসব জাতিরা এহুদা দেশকে ছিন্নভিন্ন করার জন্য শিং উঠিয়েছে, তাদের ভয় দেখাবার জন্য ও তাদের শিংগুলো নিচে ফেলে দেবার জন্য এরা আসছে।