5. তারা নিজেদের এমন লোকদের মত দেখাল,যারা নিবিড় বনে কুঠার উঠায়।
6. এখন তারা একেবারে সেই স্থানেরসমস্ত শিল্পকর্ম কুঠার ও হাতুড়ি দ্বারা ভেঙ্গে ফেলে।
7. তারা তোমার পবিত্র স্থানে আগুন লাগিয়ে দিল,তোমার নামের আবাস ভূমিসাৎ করে নাপাক করলো।
8. তারা মনে মনে বললো, ‘আমরা তাদের একেবারে সংহার করি,’তারা দেশের মধ্যে আল্লাহ্র সমস্ত জমায়েত-স্থান পুড়িয়ে দিয়েছে।
9. আমরা আমাদের চিহ্নগুলো দেখতে পাই না, কোন নবী আর নেই;আমাদের কেউ জানে না, কত দিন এইভাবে চলবে।
10. হে আল্লাহ্, বিপক্ষ কতদিন তিরস্কার করবে?দুশমন কি চিরকাল তোমার নাম তুচ্ছ করবে?
11. তুমি তোমার হাত, তোমার ডান হাত, কেন সঙ্কুচিত করছো?সেটি বক্ষঃস্থল থেকে বের কর, দুশমনদের শেষ করে দাও।
12. তবুও আল্লাহ্ই পূর্বকাল থেকে আমার বাদশাহ্,দুনিয়ার মধ্যে উদ্ধারের সাধনকর্তা।
13. তুমিই তোমার পরাক্রমে সমুদ্রকে বিভক্ত করেছিলে,তুমিই পানিতে নাগদের মাথা চূর্ণ করেছিলে।
14. তুমিই লিবিয়াথনের মাথা চূর্ণ করেছিলে,মরুভূমি-নিবাসী সকলকে খাদ্য হিসেবে তার দেহ দিয়েছিলে।
15. তুমিই ফোয়ারা ও বন্যার জন্য পথ করেছিলে,তুমিই নিত্য প্রবাহিনী নদী শুকিয়ে ফেলেছিলে।
16. দিন তোমার, রাত তোমার;তুমিই জ্যোতিষ্ক ও সূর্য রচনা করেছ।
17. তুমিই দুনিয়ার সমস্ত সীমা স্থাপন করেছ;তুমিই গ্রীষ্মকাল ও শীতকাল স্থাপন করেছ।
18. হে মাবুদ স্মরণ কর, কেমন করে দুশমন তিরস্কার করেছে,মূঢ় জাতি তোমার নাম তুচ্ছ করেছে।
19. তোমার ঘুঘুর প্রাণ বন্য পশুকে দিও না;তোমার দুঃখীদের জীবন চিরতরে ভুলে থেকো না।
20. সেই নিয়মের প্রতি দৃষ্টি রাখ;কেননা দুনিয়ার অন্ধকারময় সমস্ত স্থান অত্যাচারের বসতিতে পরিপূর্ণ।
21. উৎপীড়িত ব্যক্তি যেন লজ্জিত হয়ে ফিরে না যায়;দুঃখী ও দরিদ্র তোমার নামের প্রশংসা করুক।
22. উঠ, হে আল্লাহ্, তোমার ঝগড়া নিষ্পন্ন কর;স্মরণ কর, মূঢ় সমস্ত দিন তোমাকে কেমন তিরস্কার করে।
23. তোমার বিপক্ষদের কোলাহল ভুলে যেয়ো না;তোমার প্রতিপক্ষদের কলহ নিয়ত উঠছে।