14. কেননা আমি সমস্ত দিন আহত হয়েছি,প্রতি প্রভাতে শাস্তি পেয়েছি।
15. যদি আমি বলতাম, এরকম বর্ণনা করবো,তবে দেখ, তোমার সন্তানদের বংশের প্রতি বিশ্বাসঘাতক হতাম।
16. আমি তা বুঝবার জন্য চিন্তা করলাম,কিন্তু তা আমার দৃষ্টিতে কষ্টকর হল,
17. যতদিন আমি আল্লাহ্র পবিত্র স্থানে প্রবেশ না করলাম,ও তাদের শেষ ফল বিবেচনা না করলাম।
18. তুমি তাদেরকে পিচ্ছিল স্থানেই রাখছ,তাদেরকে বিনাশে ফেলে দিচ্ছ।
19. তারা নিমিষকালের মধ্যে কেমন উচ্ছিন্ন হয়,নানা ত্রাসে কেমন নিঃশেষে সংহার হয়।
20. নিদ্রা ভঙ্গ হলে পর যেমন স্বপ্ন তুচ্ছ হয়,তেমনি, হে মালিক, তুমি জাগলে তাদের মূর্তিগুলোকে তুচ্ছ করবে।
21. কারণ আমার অন্তর শোকাভিভূত হল,আমার অন্তর বিদ্ধ হল;
22. আমি মূর্খ ও অজ্ঞান,তোমার কাছে পশুর মত ছিলাম।
23. কিন্তু আমি নিরন্তর তোমার সঙ্গে সঙ্গে আছি;তুমি আমার ডান হাত ধরে রেখেছ।
24. তুমি নিজের মন্ত্রণায় আমাকে গমন করাবে,শেষে সপ্রতাপে আমাকে গ্রহণ করবে।
25. বেহেশতে আমার কে আছে?দুনিয়াতেও তোমা ভিন্ন আর কিছুতে আমার প্রীতি নেই।
26. আমার মাংস ও আমার অন্তর ক্ষয় পাচ্ছে,তবুও আল্লাহ্ চিরকাল আমার অন্তরের শৈল ও আমার উত্তরাধিকার।
27. কেননা দেখ, যারা তোমা থেকে দূরে থাকে, তারা বিনষ্ট হবে;যেসব লোক তোমার প্রতি অবিশ্বস্ত হয়,সে সকলকে তুমি উচ্ছিন্ন করেছ।
28. কিন্তু আল্লাহ্র সান্নিধ্যে থাকা আমারই পক্ষে মঙ্গল;আমি সার্বভৌম মাবুদের আশ্রয় নিলাম,যেন তোমার সমস্ত কাজ বর্ণনা করতে পারি।