13. তোমরা কি বাথানের মধ্যে শয়ন করবে,রূপায় মোড়া কবুতরের পাখার মত হবে,যার পালক উজ্জ্বল সোনায় মোড়ানো?
14. সর্বশক্তিমান যখন বাদশাহ্দেরকে দেশে ছিন্নভিন্ন করলেন,তখন সল্মোন পর্বতে [যেন] তুষার পড়লো।
15. বাশন পর্বত আল্লাহ্র পর্বত;বাশন পর্বত বহুশৃঙ্গ পর্বত।
16. হে বহুশৃঙ্গ পর্বতমালা,আল্লাহ্ তাঁর নিবাসের জন্য যে পর্বতে প্রীত হয়েছেন,তার প্রতি তোমরা কেন কুটিল দৃষ্টি করছো?অবশ্য মাবুদ চিরকাল সেখানে বাস করবেন।
17. আল্লাহ্র রথ অযুত অযুত ও লক্ষ লক্ষ, প্রভু সেই সবের মধ্যবর্তী;যেমন সিনাইয়ে, তাঁর পবিত্র স্থানে।
18. তুমি ঊর্ধ্বে উঠেছ, বন্দীদেরকে বন্দীদশায় নিয়ে গিয়েছ,মানুষের মধ্যে দান গ্রহণ করেছ;এমন কি, বিদ্রোহীদের মধ্যেও গ্রহণ করেছ,যেন মাবুদ আল্লাহ্ [সেখানে] বাস করেন।
19. মাবুদ ধন্য হোন, যিনি দিন দিন আমাদের ভার বহন করেন;আল্লাহ্ হলেন আমাদের উদ্ধার।[সেলা।]
20. আল্লাহ্ আমাদের পক্ষে উদ্ধারকারী আল্লাহ্;মৃত্যু থেকে উত্তরণ সার্বভৌম মাবুদেরই অধীনে।
21. আল্লাহ্ অবশ্য তাঁর দুশমনদের মাথাও কুপথগামীর কেশযুক্ত-কপাল চূর্ণ করবেন।
22. প্রভু বললেন, আমি বাশন থেকে পুনর্বার আনবো,সমুদ্রের গভীর তল থেকে [তাদেরকে] পুনর্বার আনবো,
23. যেন তোমার চরণ রক্তে ডুবাতে পার,যেন তোমার কুকুরদের জিহ্বা তোমার দুশমনদের থেকে অংশ পায়।
24. হে আল্লাহ্, লোকে তোমার গমন দেখেছে;পবিত্র স্থানে আমার আল্লাহ্র, আমার বাদশাহ্র, গমন দেখেছে।
25. সম্মুখে গায়করা, পিছনে বাদ্যকররা চললো,বাদ্যবাদিনী কুমারীদের মধ্যস্থানে।
26. জনসমাগমের মধ্যে আল্লাহ্র শুকরিয়া কর;তোমরা, যারা ইসরাইলরূপ ফোয়ারা থেকে উৎপন্ন,তোমরা প্রভুর শুকরিয়া কর।
27. সেখানে আছেন তাদের শাসক কনিষ্ঠ বিন্ইয়ামীন,এহুদার নেতৃবর্গ ও তাদের জনগণ,সবূলূনের নেতৃবর্গ, নপ্তালির নেতৃবর্গ।
28. হে আল্লাহ্, তোমার পরাক্রমকে ডাক,হে আল্লাহ্, তোমার শক্তি দেখাও,যেমন তুমি আমাদের আগে সাধন করেছ,
29. জেরুশালেমে তোমার এবাদতখানা আছে বলে,বাদশাহ্রা তোমার উদ্দেশে উপহার আনবেন।
30. তুমি নল-বনের বন্যপশুকে ভর্ৎসনা কর,জাতিদের বাছুরগুলোকে ও ষাঁড়গুলোকে ভর্ৎসনা কর;তারা প্রত্যেকে বিনীত হয়ে রূপার থান পায়ের তলায় রাখুক;যেসব জাতি যুদ্ধ ভালবাসে, তিনি তাদেরকে ছিন্নভিন্ন করলেন।
31. মিসর থেকে প্রধান প্রধান লোক আসবে;ইথিওপিয়া শীঘ্র আল্লাহ্র কাছে হাত বাড়াবে।