14. আমি তাদেরকে নিজের বন্ধুবা নিজের ভাই বলে মনে করতাম,আমি মাতৃশোকাতুরের মত শোকার্ত হয়ে অধোমুখে থাকতাম।
15. তবুও তারা আমার পদস্খলনে আনন্দিত হল ও সকলে একত্র হল;অধম লোকেরা আমার অজ্ঞাতসারে আমার বিরুদ্ধে একত্র হল,তারা আমাকে বিদীর্ণ করলো, ক্ষান্ত হল না।
16. আল্লাহ্বিহীনদের বিদ্বেষপূর্ণ উপহাসের মততারা আমার প্রতি দাঁতে দাঁত ঘর্ষণ করলো।
17. হে মাবুদ, তুমি কতকাল দেখবে?রক্ষা কর আমার প্রাণ তাদের ধ্বংস থেকে,আমার একমাত্র (রূহ্) সিংহদের থেকে।
18. আমি মহাসমাজের মধ্যে তোমার প্রশংসা করবো,বলবান জাতির মধ্যে তোমার প্রশংসা করবো।
19. আমার দুশমনদেরকে আমার বিষয়ে অন্যায় আনন্দ করতে দিও না,যারা অকারণে আমাকে হিংসা করে,তাদেরকে ভ্রুকুটি করতে দিও না।
20. কেননা তারা শান্তির কথা বলে না,কিন্তু দেশের শান্ত মানুষের বিরুদ্ধে ছলের কথা কল্পনা করে।
21. তারা আমার বিরুদ্ধে মুখ ভেঙ্গাতো;বলতো, ”অহো! অহো! আমাদের চোখ দেখেছে।”
22. হে মাবুদ তুমি দেখেছ, নীরব থেকো না;প্রভু, আমা থেকে দূরবর্তী হয়ো না।
23. জেগে উঠ, জাগ্রত হও, আমার রক্ষার্থে,হে আমার আল্লাহ্, আমার প্রভু,আমার পক্ষে কথা বলবার জন্য।
24. হে মাবুদ, আমার আল্লাহ্,তোমার ধর্মশীলতা অনুসারে আমার বিচার কর,ওরা আমার উপরে আনন্দ না করুক।
25. তারা মনে মনে না বলুক,‘অহো! এ-ই আমাদের অভিলাষ;‘তারা না বলুক, ‘তাকে গ্রাস করলাম’।
26. যারা আমার বিপদে আনন্দিত হয়,তারা একসঙ্গে লজ্জিত ও হতাশ হোক;যারা আমার বিরুদ্ধে গর্ব করে,তারা লজ্জায় ও অপমানে আচ্ছন্ন হোক।
27. যারা আমার ধার্মিকতায় প্রীত,তারা আনন্দধ্বনি করুক আহ্লাদিত হোক,দিনরাত বলুক, মাবুদ মহিমান্বিত হোন,যিনি নিজের গোলামের সহিসালামতে প্রীত।