27. আমি ওদের বংশকে জাতিদের মধ্যে নিপাত করবো,ওদেরকে নানা দেশে ছিন্নভিন্ন করবো।
28. তারা বাল-পিয়োরের প্রতি আসক্ত হল,মৃতদের উদ্দেশে করা উৎসর্গ ভোজন করলো।
29. এভাবে তারা নিজ নিজ কাজ দ্বারা তাঁকে অসন্তুষ্ট করলো;তাই তাদের মধ্যে মহামারীর প্রাদুর্ভাব হল।
30. তখন পীনহস দাঁড়িয়ে বিচার সাধন করলেন,তাতে মহামারী নিবৃত্ত হল।
31. তাঁর পক্ষে তা ধার্মিকতা বলে গণনা করা হল,পুরুষ পরস্পরায় চিরকালের জন্য গণনা করা হল।
32. তারা মরীবার পানির কাছেও আল্লাহ্র ক্রোধ জন্মাল,আর তাদের জন্য মূসার বিপদ ঘটলো;
33. কেননা তারা তাঁর রূহের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হল,আর উনি তাদের ওষ্ঠাধরে অবিবেচনার কথা বললেন।
34. তারা জাতিদেরকে বিনষ্ট করলো না,যা মাবুদ করতে হুকুম দিয়েছিলেন।
35. কিন্তু তারা জাতিদের সঙ্গে মিশে গেল,ওদের রীতিনীতি শিক্ষা করলো;
36. আর ওদের মূর্তিগুলোর সেবা করলো,তাতে সেগুলো তাদের ফাঁদ হয়ে উঠলো;
37. ফলে তারা নিজেদের পুত্রদের,আর নিজেদের কন্যাদেরকে বদ-রূহ্দের উদ্দেশে কোরবানী করলো;
38. তারা নির্দোষদের রক্তপাত,নিজ নিজ পুত্র-কন্যাদেরই রক্তপাত করলো,কেনানীয় মূর্তিগুলোর উদ্দেশে তাদেরকে কোরবানী করলো;দেশ রক্তে অশুদ্ধ হল।
39. এভাবে তারা নিজেদের কাজে নাপাক,নিজেদের কর্মতে জেনাকারী হল।
40. তাতে নিজের লোকদের উপরে মাবুদের ক্রোধ জ্বলে উঠলো,তিনি নিজের অধিকারকে ঘৃণা করলেন।
41. তিনি তাদেরকে জাতিদের হাতে তুলে দিলেন,তাতে তাদের বিদ্বেষীরা তাদের উপরে কর্তৃত্ব করলো।
42. তাদের দুশমনরাও তাদের প্রতি জুলুম করলো,এবং তারা ওদের অধীনে নত হল।
43. অনেকবার তিনি তাদেরকে উদ্ধার করলেন,কিন্তু তারা নিজেদের মন্ত্রণায় বিদ্রোহী হল,ও নিজেদের অপরাধে দুর্বল হয়ে পড়লো।
44. তবুও তিনি যখন তাদের কাতরোক্তি শুনলেন,তখন তাদের সঙ্কটের প্রতি দৃষ্টিপাত করলেন।
45. তিনি তাদের পক্ষে তাঁর নিয়ম স্মরণ করলেন,নিজের অটল মহব্বতের মহত্ত্ব অনুসারে অনুশোচনা করলেন।