22. হামের দেশে নানা অলৌকিক কাজ,লোহিত সাগরের ধারে নানা ভয়ঙ্কর কাজ করেছিলেন।
23. অতএব তিনি বললেন, ওদেরকে সংহার করতে হবে;কিন্তু তাঁর মনোনীত ব্যক্তি মূসা তাঁর সাক্ষাতে ভঙ্গস্থানে দাঁড়ালেন,তাঁর ক্রোধ ফিরাবার জন্য দাঁড়ালেন,পাছে তিনি তাদেরকে বিনাশ করেন।
24. আর তারা রমণীয় দেশ তুচ্ছ করলো,তাঁর কালামে বিশ্বাস করলো না;
25. কিন্তু নিজ নিজ তাঁবুর মধ্যে বচসা করলো,মাবুদের কথা মান্য করলো না।
26. অতএব তিনি তাদের বিরুদ্ধে হাত তুললেন,বললেন, আমি ওদেরকে মরুভূমিতে নিপাত করবো,
27. আমি ওদের বংশকে জাতিদের মধ্যে নিপাত করবো,ওদেরকে নানা দেশে ছিন্নভিন্ন করবো।
28. তারা বাল-পিয়োরের প্রতি আসক্ত হল,মৃতদের উদ্দেশে করা উৎসর্গ ভোজন করলো।
29. এভাবে তারা নিজ নিজ কাজ দ্বারা তাঁকে অসন্তুষ্ট করলো;তাই তাদের মধ্যে মহামারীর প্রাদুর্ভাব হল।
30. তখন পীনহস দাঁড়িয়ে বিচার সাধন করলেন,তাতে মহামারী নিবৃত্ত হল।
31. তাঁর পক্ষে তা ধার্মিকতা বলে গণনা করা হল,পুরুষ পরস্পরায় চিরকালের জন্য গণনা করা হল।
32. তারা মরীবার পানির কাছেও আল্লাহ্র ক্রোধ জন্মাল,আর তাদের জন্য মূসার বিপদ ঘটলো;
33. কেননা তারা তাঁর রূহের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হল,আর উনি তাদের ওষ্ঠাধরে অবিবেচনার কথা বললেন।
34. তারা জাতিদেরকে বিনষ্ট করলো না,যা মাবুদ করতে হুকুম দিয়েছিলেন।
35. কিন্তু তারা জাতিদের সঙ্গে মিশে গেল,ওদের রীতিনীতি শিক্ষা করলো;
36. আর ওদের মূর্তিগুলোর সেবা করলো,তাতে সেগুলো তাদের ফাঁদ হয়ে উঠলো;
37. ফলে তারা নিজেদের পুত্রদের,আর নিজেদের কন্যাদেরকে বদ-রূহ্দের উদ্দেশে কোরবানী করলো;
38. তারা নির্দোষদের রক্তপাত,নিজ নিজ পুত্র-কন্যাদেরই রক্তপাত করলো,কেনানীয় মূর্তিগুলোর উদ্দেশে তাদেরকে কোরবানী করলো;দেশ রক্তে অশুদ্ধ হল।
39. এভাবে তারা নিজেদের কাজে নাপাক,নিজেদের কর্মতে জেনাকারী হল।