13. কারণ, হে ভাইয়েরা, তোমরা স্বাধীনতার জন্য আহ্বান পেয়েছ; কেবল দেখো, সেই স্বাধীনতাকে গুনাহ্-স্বভাবের পক্ষে ব্যবহার করো না, বরং মহব্বতের দ্বারা এক জন অন্যের গোলাম হও।
14. যেহেতু সমস্ত শরীয়ত মিলিয়ে এই একটি কথায় বলা হয়েছে, যথা, “তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মত মহব্বত করবে।”
15. কিন্তু তোমরা যদি পরস্পর ঝগড়াঝাটি ও হিংসা-হিংসি কর, তবে দেখো, তোমরা যেন একে অন্যকে ধ্বংস করে না ফেল।
16. তাই আমি বলি যে, তোমরা পাক-রূহের বশে চল। তা করলে তোমরা গুনাহ্-স্বভাবের অভিলাষ পূর্ণ করবে না।
17. কেননা গুনাহ্-স্বভাব পাক-রূহের বিরুদ্ধে এবং পাক-রূহ্ গুনাহ্-স্বভাবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে; কারণ এই দু’টি একটি অন্যটির বিরুদ্ধে বলে তোমরা যা করতে চাও তা কর না।
18. কিন্তু যদি পাক-রূহ্ দ্বারা চালিত হও তবে তোমরা শরীয়তের অধীন নও।
19. আবার গুনাহ্-স্বভাবের কাজগুলো হচ্ছে; পতিতা-গমন, নাপাকীতা, লমপটতা,
20. মূর্তিপূজা, যাদুবিদ্যা, নানা রকম শত্রুতা, ঝগড়া, ঈর্ষা, রাগ, স্বার্থপর উচ্চাকাঙ্খা, বিচ্ছিন্নতা, দলভেদ,
21. হিংসা, মত্ততা, রঙ্গরস ও সেই রকম অন্যান্য দোষ। এই সব বিষয় সম্পর্কে আমি তোমাদের সতর্ক করছি, যেমন আগে করেছিলাম, যারা এই রকম আচরণ করে তারা আল্লাহ্র রাজ্যে অধিকার পাবে না।
22. কিন্তু পাক-রূহের ফল হল মহব্বত, আনন্দ, শান্তি, র্দীঘসহিষ্ণুতা, মাধুর্য, দয়া, বিশ্বস্ততা,
23. মৃদুতা, ইন্দ্রিয়দমন; এই রকম গুণের বিরুদ্ধ আইন নেই।
24. আর যারা মসীহ্ ঈসার, তারা গুনাহ্-স্বভাবকে তার যত কামনা-বাসনাসুদ্ধ ক্রুশে দিয়েছে।
25. আমরা যদি পাক-রূহের বশে জীবন ধারণ করি, তবে এসো, আমরা পাক-রূহের অধীনে চলাফেরা করি।
26. আমরা যেন অনর্থক অহংকার না করি, পরস্পরকে জ্বালাতন না করি, পরস্পরকে হিংসা না করি।