13. তখন সীষরা তাঁর সমস্ত রথ অর্থাৎ নয় শত লোহার রথ এবং তাঁর সঙ্গী লোক সকলকে একত্র ডেকে এনে হরোশৎ-হগোয়িম থেকে কীশোন নদীর কাছে গমন করলেন।
14. তখন দবোরা বারককে বললেন, উঠ, কেননা আজই মাবুদ তোমার হাতে সীষরাকে তুলে দিয়েছেন; মাবুদ কি তোমার অগ্রবর্তী হয়ে যান নি? তখন বারক ও তাঁর অনুগামী দশ হাজার লোক তাবোর পর্বত থেকে নামলেন।
15. পরে মাবুদ বারকের সম্মুখে সীষরা এবং তাঁর সমস্ত রথ ও সমস্ত সৈন্যকে তলোয়ারের আঘাতে ছিন্নভিন্ন করলেন; আর সীষরা রথ থেকে নেমে দৌড়ে পালিয়ে গেলেন।
16. বারক হরোশৎ-হগোয়িম পর্যন্ত তাঁর রথগুলোর ও সৈন্যদের পিছনে ধাবমান হলে সীষরার সমস্ত সৈন্য তলোয়ারের আঘাতে মারা পড়লো; এক জনও অবশিষ্ট রইলো না।
17. ইতোমধ্যে সীষরা দৌড়ে পালিয়ে কেনীয় হেবরের স্ত্রী যায়েলের তাঁবুর দিকে গেলেন; কেননা হাৎসোরের যাবীন বাদশাহ্ ও কেনীয় হেবরের কুলের মধ্যে তখন ঐক্য ছিল।
18. আর যায়েল সীষরার সঙ্গে দেখা করতে বের হয়ে তাঁকে বললেন, হে আমার প্রভু, ফিরে আসুন, আমার এখানে আসুন, ভয় পাবেন না। তখন তিনি তাঁর দিকে ফিরে তাঁবুর মধ্যে গেলে সেই স্ত্রী একটি কম্বল দিয়ে তাঁকে ঢেকে রাখলেন।
19. আর সীষরা তাঁকে বললেন, আরজ করি, আমাকে একটু খাবার পানি দাও, আমি পিপাসিত হয়েছি। তাতে তিনি দুধের কুপা খুলে পান করতে দিলেন ও তাঁকে ঢেকে রাখলেন।
20. পরে সীষরা তাঁকে বললেন, তুমি তাঁবুর দরজার কাছে দাঁড়িয়ে থাক; যদি কেউ এসে জিজ্ঞাসা করে, এখানে কি কোন মানুষ আছে? তবে বলো, কেউ নেই।
21. পরে হেবরের স্ত্রী যায়েল তাঁবুর একটি গোঁজ নিলেন ও হাতুড়ি নিয়ে ধীরে ধীরে তাঁর কাছে গিয়ে তাঁর কর্ণমূলে গোঁজটি এমনভাবে বিদ্ধ করলেন যে, তা মাটিতে প্রবেশ করলো; কারণ তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন; এভাবে তিনি মূর্চ্ছিত হয়ে ইন্তেকাল করলেন।
22. আর দেখ, বারক সীষরার পিছনে তাড়া করে যাচ্ছিলেন, তখন যায়েল তাঁর সঙ্গে দেখা করতে বাইরে এসে বললেন, আসুন, আপনি যার খোঁজ করছেন, সেই মানুষটিকে আমি আপনাকে দেখাই। তাতে তিনি তাঁর তাঁবুতে প্রবেশ করলেন, আর দেখ, সীষরা মৃত পড়ে আছেন ও তাঁর কর্ণমূলে গোঁজ বিদ্ধ রয়েছে।
23. এভাবে আল্লাহ্ সেদিন কেনানীয় বাদশাহ্ যাবীনকে বনি-ইসরাইলদের সাক্ষাতে নত করলেন।
24. আর বনি-ইসরাইলরা যে পর্যন্ত কেনানীয় বাদশাহ্ যাবীনকে ধ্বংস না করলো, সেই পর্যন্ত কেনানীয় বাদশাহ্ যাবীনের বিরুদ্ধে তাদের হাত উত্তরোত্তর শক্তিশালী হয়ে উঠলো।