7. পরে সেই পাঁচ জন যাত্রা করে লয়িশে এল। তারা দেখলো, সেই স্থানের লোকেরা সীদোনীয়দের রীতি অনুসারে সুস্থির ও নিশ্চিন্ত হয়ে নির্বিঘ্নে বাস করছে। সেই দেশে কোন বিষয়ে তাদেরকে অপ্রস্তুত করতে পারে, কর্তৃত করার মত এমন কেউ নেই, আর সীদোনীয়দের থেকে তারা অনেক দূরে বাস করে এবং অন্য কারো সঙ্গে তাদের সম্বন্ধ নেই।
8. পরে ওরা সরা ও ইষ্টায়োলে নিজেদের লোকদের কাছে ফিরে এল; তাদের লোকেরা তাদের জিজ্ঞাসা করলো, তোমরা কি দেখলে?
9. তারা বললো, উঠ, আমরা সেই লোকদের বিরুদ্ধে যাই; আমরা সেই দেশ দেখেছি; আর দেখ, তা অতি উত্তম, তোমরা কেন চুপ করে আছ? সেই দেশ অধিকার করার জন্য সেখানে যেতে দেরি করো না;
10. তোমরা গেলেই নির্বিঘ্ন এক লোক-সমাজের কাছে পৌঁছাবে। সেই দেশটি বড় এবং আল্লাহ্ তোমাদের হাতে সেই দেশ তুলে দিয়েছেন; সেই স্থানে দুনিয়ার কোন কিছুর অভাব নেই।
11. তখন দান-গোষ্ঠীর ছয় শত লোক যুদ্ধাস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সেই স্থান অর্থাৎ সরা ও ইষ্টায়োল থেকে যাত্রা করলো।
12. তারা এহুদার কিরিয়ৎ-যিয়ারীমে উঠে গিয়ে সেখানে শিবির স্থাপন করলো। এই কারণে আজ পর্যন্ত সেই স্থানকে মহনেদান (দানের শিবির) বলে; দেখ, তা কিরিয়ৎ-যিয়ারীমের পিছনে আছে।
13. পরে তারা সেই স্থান থেকে পর্বতময় আফরাহীম প্রদেশে গেল ও মিকাহ্র বাড়ি পর্যন্ত এল।
14. তখন যে পাঁচ জন লয়িশ প্রদেশে অনুসন্ধান করতে এসেছিল, তারা তাদের লোকদের বললো, তোমরা কি জান যে, এই বাড়িতে একটি এফোদ, কয়েকটি পারিবারিক দেবতা, একটি খোদাই-করা মূর্তি ও ছাঁচে ঢালা একটি মূর্তি আছে? এখন তোমাদের যা কর্তব্য, তা বিবেচনা কর।
15. পরে তারা সেই দিকে ফিরে মিকাহ্র বাড়িতে ঐ লেবীয় যুবকের বাড়িতে এসে তার মঙ্গল জিজ্ঞাসা করলো।
16. আর দান-বংশের লোকদের মধ্যে যুদ্ধাস্ত্রে সজ্জিত সেই ছয় শত পুরুষ প্রবেশ-দ্বারের স্থানে দাঁড়িয়ে রইলো।
17. আর দেশ নিরীক্ষণ করার জন্য যারা গিয়েছিল, সেই পাঁচ জন উঠে গেল; তারা সেখানে প্রবেশ করে ঐ খোদাই-করা মূর্তি, এফোদ, পারিবারিক দেব মূর্তিগুলো ও ছাঁচে ঢালা মূর্তি তুলে নিল; এবং ঐ ইমাম যুদ্ধাস্ত্রে সজ্জিত ঐ ছয় শত পুরুষের সঙ্গে প্রবেশ-দ্বারের স্থানে দাঁড়িয়ে ছিল।
18. যখন ওরা মিকাহ্র বাড়িতে প্রবেশ করে সেই খোদাই-করা মূর্তি, এফোদ, দেব মূতিগুলো ও ছাঁচে ঢালা মূর্তি তুলে নিল, তখন ইমাম তাদেরকে বললো, তোমরা এ কি করছো?